চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘সিম পজিশনই রিভার্স সুইংয়ের মূল মন্ত্র’

২২ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৩১ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের নবাগত পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট সম্ভবত লাল সবুজের পেসারদের সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা নিয়েই এসেছেন। যে দেশে পেস বোলাররা সবচেয়ে অবহেলিত সেদেশের কোচকে তো নতুন কিছু নিয়ে ভাবতেই হবে। তাই তো প্রথম দিনেই অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে দিলেন। জানালেন, ‘তার শক্তির জায়গা সুইং নিয়েই কাজ করবেন, শিষ্যদের শেখাবেন নিজের ক্যারিয়ারের সবচাইতে ধারালো অস্ত্র সুইং। আর বোলিং বৈচিত্রের চাইতে বেশি গুরুত্ব দিলেন আক্রমণাত্মক লাইন ও লেংথের ওপর। সঙ্গত কারণেই বাতলে দিলেন কী করে শিষ্যরা রিভার্স সুইং করবে। এটাও বলে রাখলেন প্রয়োজনে রিভার্স সুইংকে তাদের মূল অস্ত্রে উপনীত করতেও পিছপা হবেন না এই দক্ষিণ আফ্রিকান। ‘আমার শক্তি ছিল সুইং। এবং আমি আমার শিষ্যদের শেখাতে চেষ্টা করবো কি করে বল সুইং করাতে হয়। মনে রাখতে হবে সিম পজিশনই রিভার্স স্ইুংয়ের মূল মন্ত্র। আর যদি বল সুইং না করে সেক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক বোলিং করতে হবে। মানে সঠিক লাইন ও লেংথ বজায় রেখে ধারাবাহিক আক্রমণাত্মক বল ডেলিভারি দিয়ে যেতে হবে।’ গতকাল শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে তিনি এই মন্ত্রই শোনালেন। সুইংয়ের পাশিাপাশি এসময় পেস বোলিংয়ের আরও কয়েকটি ইউনিট নিয়ে কথা বলেন টাইগার নবনিযুক্ত এই পেস বোলিং কোচ। ইয়োর্কার লেংথকে বলা হয়ে থাকে পেস বোলারদের শক্তির অন্যতম উৎস। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলংকা সিরিজেও দেখা গেছে লংকান পেসারদের ইয়োর্কারে কী ভয়ংকরভাবে পরাস্ত হয়েছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের কোনো পেসারকেই আজও এই অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। কিন্তু কেন? উত্তরে শার্ল জানালেন, ‘ইয়োর্কার একটি গো টু বল হতে পারে যদি কোনো বোলার ভাল ইয়োর্কার দিতে পারে। এই বলটা কারো স্টক বল মানে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করতে বড় অস্ত্র হতে পারে। তবে এটাও ঠিক যদি ইয়োর্কার ঠিক মতো না হয় তাহলে ওই বোলার ৬ খেয়ে যেতে পারে। তাই এটা রপ্ত করতে আপনাকে অনুশীলনের বাইরেও অনুশীলন করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিন বোলিং অনুশীলনের পরেও আপনাকে ২০টি বল করতে হবে।’ আর কার্যকর বাউন্সার ডেলিভারির ক্ষেত্রে বোলারদের উচ্চতাকেও তুলে ধরলেন সবার ওপরে। ‘যদি কোন বোলার পর্যাপ্ত লম্বা না হয় তা হলে এই ডেলিভারিটি দেওয়া কঠিন। তাসকিনের কথাই ধরুন না। যদি সে চোটাক্রান্ত না হয় তাহলে অবশ্যই সে এক্সট্রা বাউন্সার পেতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, কোচিং স্টাফের চারজন দক্ষিণ আফ্রিকার হওয়ায় তার কাজ করতে সুবিধা হবে। তবে ভাষা একটা সমস্যা বলে মনে করেন ল্যাঙ্গাভেল্ট। আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, ‘না বুঝেও তারা হ্যাঁ বলে। এমন অভিজ্ঞতাও আমার আছে। এই সমস্যা সমাধানের উপায়ও আমার জানা আছে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলতে হবে। গ্রুপে কথা বললে তারা নাও বুঝতে পারে। আবার বুঝতে না পারলে তা বলতেও অসুবিধা মনে করতে পারে। এছাড়া তাদের সঙ্গে ধীরে ধীরে কথা বলতে হবে। ব্যাক্তিগত পর্যায়ে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।’-ইন্টারনেট

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট