চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

কোরিয়ান সেনা মোকাবেলায় প্রস্তুত আবাহনী

স্পোর্টস ডেস্ক

২১ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৩১ পূর্বাহ্ণ

এএফসি কাপে প্রথম বাংলাদেশি ক্লাব হিসেবে নকআউটে আবাহনী লিমিটেড। ইন্টার জোন প্লে অফ সেমিফাইনালে তাদের সামনে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। একে তো উত্তর কোরিয়ার এই ক্লাব কঠিন প্রতিপক্ষ, অন্যদিকে দলে চোটের হানা আবাহনীকে আরও ভাবিয়ে তোলার কথা। পূর্ণ শক্তির দল না পেলেও কিন্তু নিরাশ হচ্ছেন না কোচ মারিও লেমস।
আজ বুধবার প্রথম লেগ হবে দেশের মাটিতে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী স্বাগত জানাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪.২৫ স্পোর্টস ক্লাব নামে পরিচিত দলকে। গতবারের ইন্টার জোনের ফাইনালিস্টের বিপক্ষে জেতা সহজ হবে না মানছেন লেমস। তার ওপর মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠেছে ইনজুরি ও কার্ড সমস্যার। নিয়মিত চার খেলোয়াড়কে এই ম্যাচে পাচ্ছে না আবাহনী। লিগামেন্টের অস্ত্রোপচার করানোয় দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে দুই ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও আতিকুর রহমান ফাহাদ। কয়েক সপ্তাহ আগে অনুশীলনের সময় পায়ে চোট পান মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। আবাহনীতে যোগ দিয়ে প্রথম ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে না মিশরের আলা এলদিন নাসেরের। গত টুর্নামেন্টে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের হয়ে তিনি লাল কার্ড পান। সব মিলিয়ে অনেকটা ভঙ্গুর দল নিয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে আবাহনী। তবে দলের পর্তুগিজ কোচ অন্যদের ওপর আস্থা রাখতে চাইছেন। বাফুফে ভবনে ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে লেমস বলেছেন, ‘আসলে গ্রুপ পর্ব থেকেই ইনজুরি সমস্যা নিয়ে আমরা লড়াই করে যাচ্ছি। ফুটবলে এমনটা হতেই পারে। অবশ্য এতে করে বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের সামনে সুযোগ আসে। যারা একাদশে সুযোগ পাবে, আশা করি তারা দায়িত্ব নিয়ে খেলবে। এখানে কোনও ভুল করার সুযোগ নেই।’ প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করলেন আবাহনী কোচ। ইতিহাস গড়তে চান লেমস, ‘আমরা প্রায় তিন সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে এই ম্যাচ খেলবো। এটা যে আমাদের জন্য বেশ কঠিন ম্যাচ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সবাই লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। আশা করছি জিতে মাঠ ছাড়তে পারবো আমরা, নতুন করে গড়তে পারবো ইতিহাস।’ প্রতিপক্ষের ভিডিও হাইলাইটস দেখে লেমস দলের ফরমেশনও প্রায় ঠিক করে ফেলেছেন। রক্ষণাত্মক খেলে প্রতি আক্রমণ থেকে গোল পেতে চান তিনি, ‘প্রতিপক্ষ উইংনির্ভর খেলে থাকে। তাদের দুজন খেলোয়াড় সব সময় ডিবক্সে থাকার চেষ্টা করে। তাতে আমরা ভীত নই। আমাদের ডিফেন্স জমাট রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা ৫-৪-১ ফরমেশনে খেলতে পারি, যেন প্রতিপক্ষের আক্রমণগুলো রুখে দেওয়া যায়। তবে শুধু ডিফেন্স নয়, আমাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দেরও সজাগ থাকতে হবে। পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে গোল পেতে হবে।’ গতবার ইন্টার জোন প্লে-অফ ফাইনালে হেরেছিল এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। এবার সেই আক্ষেপ কাটাতে চায় সেনাবাহিনীর খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দলটি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট