চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাইন্যা কচু চাষে স্বাবলম্বী অনেকে

লোহাগাড়া

এম.এম. আহমদ মনির , লোহাগাড়া

১৮ আগস্ট, ২০১৯ | ১:১১ পূর্বাহ্ণ

 

সারাদেশে পাইন্যা কচুর কম আর বেশি কদর রয়েছে। চাষীরা উৎপাদিত কচু হাট-বাজারে বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন। লোহাগাড়ার চাষীরা কচু চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে। পানি সহনীয় ক্ষমতায় জন্মে বলে এটি পাইন্যা কচু বা জলকচু নামেও পরিচিত।
স্থানীয় চাষীরা জানান, পাইন্যা কচু চাষে তারা লাভবান বেশি হন। পানিতে জন্মে বলে আঞ্চলিক ভাষায় এই কচুকে বলা হয় পাইন্যা কচু। পুষ্টিগুণে ও মানসম্মত এবং চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। খেতেও অনেক স্বাদ। কচুর লতি, পোপা (ফুল), কচুশাক, কচুর ডাল, মূল প্রভৃতি সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। উপজেলার আমিরাবাদ, পদুয়া, বড়হাতিয়া, চুনতি ও আধুনগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় কচুক্ষেত। এমনকি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কচু বিক্রি হচ্ছে হরদম। স্বল্পখরচে উৎপাদন হয় বিধায় বিক্রিও হচ্ছে ক্রেতাদের সন্তোষজনক মূল্যে। চারা রোপণের ৪০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে লতি বের হয় এবং ১৫০ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কচু পাওয়া যায়। কচু মসুর ডাল, চনার ডাল, শুটকি মাছ ও তাজা চিংড়ি মাছসহ নানাভাবে রান্না করা হয়। বিভিন্ন হোটেলেও সবজি তরকারি হিসেবে রান্না করা হয়। তাই এ কচু তরকারি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে খ্যাত।
আমিরাবাদ ইউনিয়নের পানি কচু চাষী জাফর আলম ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, তারা উভয়ই তাদের পৃথক পৃথক ১০ গ-া জায়গায় তিন বছর থেকে পানি কচুর চাষ করে আসছেন। উন্নত জাতের চারা সংগ্রহ করে ৩ বছর পূর্বে তারা কচু চাষ শুরু করেন। প্রথমদিকে তাদের খরচ হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। প্রতিবছর বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। স্বল্প পুঁজি ও শ্রম ব্যয়ে তারা লাভবান ও হন। বর্তমানে অত্র উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাইন্যা কচুর চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস এ ব্যাপারে চাষীদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জনৈক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট