চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত

বার্মিজ পণ্যের সমাহার উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারগুলোয়

কায়সার হামিদ মানিক ,. উখিয়া

১৮ আগস্ট, ২০১৯ | ১:০৬ পূর্বাহ্ণ

 

উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত পালংখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন বনভূমিতে গড়ে উঠেছে রাখাইনে প্রচলিত বিভিন্ন নামের হাটবাজার। যেমন বলিবাজার, ফকিরা বাজার ও সাহাব বাজার.

 

এসব হাট-বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ব্রান্ডের মাদকসহ বার্মিজ পণ্যসামগ্রী। ক্যাম্পের ভিতরে রোহিঙ্গারা ইচ্ছামতো বাজার গড়ে তোলায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে রাখাইনে তৈরি ইয়াবাসহ এসব পণ্যসামগ্রী কিভাবে বাংলাদেশে আসছে এমনটাই প্রশ্ন সচেতন মহলের। বালুখালী বলি বাজার, মধুরছড়া সাহাব বাজার ও ময়নার ঘোনা ফকিরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণের দোকান থেকে শুরু করে নামী-দামি মোবাইল ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দোকান দিয়ে বসে আছে রোহিঙ্গারা। এসব দোকানের আড়ালে মাদক বাণিজ্যও চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সম্প্রতি মধুর ছড়া সাহাব বাজার দোকান সংলগ্ন একজন রোহিঙ্গার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩ কেজি স্বর্ণালংকারসহ দুজন রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের জানান, রোহিঙ্গাদের স্বর্ণালংকার বিক্রির অনুমতি না থাকার কারণে কর ফাঁকির অভিযোগে সম্প্রতি তাদের আটক করা হয়েছিল।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বালুখালী রাখাইন রাজ্যের কাছাকাছি হওয়ায় এক শ্রেণির রোহিঙ্গা নাগরিক রাতে নাফ নদী পার হয়ে মাদকসহ মিয়ানমারের তৈরি পণ্যসামগ্রী বাংলাদেশে নিয়ে আসছে।
উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় পালংখালী ইউনিয়নের মেম্বার মোজাফ্ফর আহম্মেদ সওদাগর বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইনের প্রচলিত নিয়মে ক্যাম্পে হাট-বাজার গড়ে তুলে কোটি-কোটি টাকার বার্মিজ পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছে। এসব ব্যবসার আড়ালে কিছু কিছু রোহিঙ্গা মাদক বেচা-কেনা করায় সন্ধ্যা হলে ক্যাম্পে আড্ডা দিতে দেখা যায় স্থানীয় যুবকদের। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে অনৈতিকভাবে বাজার বসিয়ে মিয়ানমারের তৈরি পণ্যসামগ্রীসহ গোপনে স্বর্ণালংকারও বিক্রি করছে। তাদের এ সমস্ত অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। যে কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা চেয়াম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা এখানে যা মন চায় তাই করছে। তারা এখানে ইচ্ছামতো চলাফেরা করার সুযোগ পাওয়ার কারণে অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে স্থানীয় সামাজিক পরিবেশকে ধ্বংস করছে। এদের কঠোর নিয়ন্ত্রণের আওতায় না আনা হলে পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে আগামী দিনে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট