চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়ার বিনোদন স্পটে দর্শনার্থীর ঢল

এম জাহেদ চৌধুরী , চকরিয়া-পেকুয়া

১৮ আগস্ট, ২০১৯ | ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঈদের দিন বিকাল থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়ার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কাজের ভারে নুইয়ে পড়া মানুষ এক ঘেয়েমি কাটাতে ছুটে যায় দেশের উপভোগ্য স্থানগুলোতে। তন্মধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং পেকুয়ার মগনামা জেটিঘাটে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সাফারি পার্কে ভ্রমণের জন্য পর্যটক ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছে। পার্কে থাকা বাঘ, সিংহ, উল্টো লেজী বানর, লাম চিতা, হনুমান, উল্লুক, কালো শিয়াল, জলহস্তী, ওয়াইল্ডবিষ্ট, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, প্যারা হরিণ, মিঠা পানির কুমির, ময়ূর, বনমোরগ, বন্য শুকর, তারকা কচ্ছপ ও বানরসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণী ঘুরে ফিরে দেখছিল দর্শনার্থীরা। অধিকাংশ দর্শনার্থীরা অভিযোগ করে জানান, পার্কে নতুন কোন অতিথি নাই। পাশাপাশি পার্কের ভিতরে সড়কের অবস্থাও বেহাল। পার্কের চারপাশ ওপর থেকে দেখার জন্য একটি ১০ তলাবিশিষ্ট টাওয়ার থাকলেও তা বন্ধ করে রেখেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। অনেকটা শ্রীহীন হয়ে পড়েছে পার্কটি। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন দর্শনার্থীরা।

সাফারি পার্কের ফরেস্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পার্কে নতুন কোন প্রাণী না থাকলেও অন্যবারের চেয়ে এবার দর্শনার্থী ছিল প্রচুর। অনেকে পায়ে হেটে আবার অনেকে পার্কের নির্দিষ্ট মিনিবাসে করে ঘুরে ঘুরে দেখছেন প্রাণীদের বেষ্টনিগুলো। প্রতিদিন ১৫-২০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে পার্কে।
অপরদিকে, ঈদের আনন্দকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে ও সাগরের খোলা হওয়া আর ঝাউবনের অপরূপ দৃশ্য দেখতে পেকুয়া উপজেলার মগনামা জেটিঘাটে ভিড় জমেছে দর্শনার্থীদের। মূলত এই জেটিঘাটটি পেকুয়া-কুতুবদিয়া মানুষের সাগর পথে পারাপারের জন্য তৈরি করা হলেও বর্তমানে এই জেটিঘাটটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে দর্শনীয় স্থানে রূপ নিয়েছে। আর ঈদ ও বাঙালির নানা সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে জেটিঘাটটি দর্শনার্থীদের পদচারণায় ছিল মূখর।

দর্শনার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, চকরিয়ায় সাফারী পার্ক ছাড়া তেমন কোন বিনোদনের জায়গা নেই। দেশে আসার পর মগনানা জেটিঘাটের কথা শুনে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসেছি। খুবই ভাল লেগেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবু তালেব বলেন, আমার মনে হয় যারা কক্সবাজার যেতে পারেন না, অল্প সময় ও স্বল্প খরচে তাদের জন্য বিনোদনের উপযুক্ত জায়গা মগনামা জেটিঘাট। জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু বলেন, মগনামা ঘাট হাজারো মানুষ যাতায়াতের পাশাপাশি বর্তমানে আর্কষণীয় পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠেছে। জেলা পরিষদের সভায় মগনামা ঘাটটিকে কিভাবে আধুনিকায়ন করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুউল করিম বলেন, মগনামা জেটিঘাট আসলে জেলা পরিষদের অধীনে। তাই এখানে আমরা কিছু করতে চাইলেও করতে পারি না। তবে, ঘাটটি যাতে পর্যটন উপযোগী করে তুলা যায় সেজন্য ডিসি স্যারকে জানাব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট