চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সৈকতের টানে কক্সবাজার বালুচরে

মাসুম খান

১৮ আগস্ট, ২০১৯ | ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ফিরে ফিরে টানে পর্যটকদের। সৈকতের টানে অসংখ্যবার যাওয়া হয়েছে কক্সবাজারে। পরিবার, বন্ধু, ক্যাম্পাসের আয়োজনে, পেশাগত প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্রমণের কথা উঠলেই সবারই প্রথম পছন্দ বিশে^র বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।

চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করা কয়েকজনকে নিয়ে গঠিত একটি ফেসবুক গ্রুপে সম্প্রতি একদিন লিখলাম ‘চলেন ঘুরে আসি’ এই বার্তার সাথে সাথে প্রিয়জন আরিফ মাইনুদ্দীন উঠেপড়ে লাগলেন এই কথার বাস্তবায়নে। গঠিত হয় ভ্রমণ বাস্তবায়ন কমিটি। আমাদের এই আয়োজনে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ^াস দেন ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার জয়নুল আবেদীন ও কলিমুল্লাহ রায়হান ভাই। আমার আর আরিফের দায়িত্ব পড়ে ভ্রমণকালীন খাদ্য বিভাগে। এরপর শুরু হয় ভ্রমণে কারা যাবে তাদের তালিকা তৈরির কাজ। আমরা সিদ্ধান্ত নিই আমরা ভ্রমণে নিতে চাই সর্বোচ্চ ৪০ জনকে। আর ভ্রমণের তারিখ হিসাবে ঘোষিত হয় ঈদের ৩য় দিন। অবশেষে আমাদের সামনে হাজির হয় সেই কাক্সিক্ষত দিন।

কিন্তু আমাদের ৪০ জনের কোটায় হাজির হয়ে যায় ৬০ জন। তারপরও সবাই কোনপ্রকার বিরক্তি ছাড়া একটি গাড়িতে করে আনন্দের সাথে যাত্রা শুরু করি কক্সবাজারের পথে। পথিমধ্যে আমাদের প্রথম গন্তব্য ডুলাহাজারা সাফারী পার্কে গিয়ে পৌঁছাই সকাল ১১টায়। সেখানে ১ ঘণ্টা সময় ব্যয় করার পর আবার যাত্রা কক্সবাজারের পথে। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা যাত্রা শেষে আমরা পৌঁছে যাই সমুদ্র সৈকত এলাকায়। এরপর আমাদের নির্ধারিত ঠিকানা হোটেল মেরিনাতে গিয়ে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম শেষে দুপুরের খাবার গ্রহণ করে পরের যাত্রা ছিল সমুদ্র সৈকতের ঢেউয়ের দিকে। এরপর শুরু হয় সাগরপাড়ে গিয়ে বেলুন ফুটানো প্রতিযোগিতা ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। এরপর যে যার মতো করে ঘোরাঘুরি শুরু করার জন্য সময় পাই অনেক। সবাই যার যার মতো শুরু করে ব্যক্তিগত ফটোসেশন। চলে মোবাইল ও ব্যক্তিগত ক্যামেরার ক্লিকবাজি। বলে রাখি, এই ভ্রমণে আমরা অংশ নিয়েছিলাম আপন তিনভাই। তাই সাগরপাড়ে আমাদের তিন ভাইয়ের রোমাঞ্চ ছিল অন্যরকম। তবে আমার কাছে এই ভ্রমণটি ছিল অন্যরকম আনন্দের। কেননা, সাথে ছিল অনেকগুলো প্রিয় মানুষ। ভ্রমণের সময় লক্ষ করেছি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যেন চিরযৌবনা। মানুষ যেমন নির্দিষ্ট একটি সময়ে বয়সের ভারে নুয়ে যায়, হারিয়ে যায় এক সময়ের তারুণ্যেভরা উদ্দীপ্ত যৌবনকাল। একসময় থেমে যায় জীবনের গতি। সেখানে যেন ব্যতিক্রম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। সৈকতের তীরে বসে মনে হবে সবেমাত্র যৌবনকালে পা দিয়েছে এই সমুদ্রকন্যা। ভরা যৌবন নিয়ে ভ্রমণপিপাসুদের ডাকছে যেন সঙ্গীতের সুরে ‘এসো বারে বারে আমারে দেখিবারে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট