চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাজার প্রশ্ন জাগে মনে!

শাহিদা আকতার জাহান

৭ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

একটি পরিবার, একটি সমাজ বা একটি জাতি কতোটা উন্নত হয়েছে, তা বোঝার-জানার-দেখার অন্যতম শর্ত হলো সেই পরিবারের, সেই সমাজের, সেই দেশের নারী সমাজের কতোটা উন্নতি সমৃদ্ধি ও অগ্রসর হয়েছে। বাংলাদেশের বিগত কয়েক দশকের বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারী সমাজের অবদান অপরিসীম। তারপরও প্রায় সকল জায়গায় নারীদের সহিংসতা বেড়েই চলেছে। সচ্ছল পরিবারের থেকে দরিদ্র পরিবারের নারীরাই বেশি সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সাথে সাথে শিশু-কিশোরী নিযার্তনও পিছিয়ে নেই।
নারী নিযার্তন একটি আদিম রূপ। নিযার্তনের প্রকারও বিভিন্ন ধরণের হয়। এই নিযার্তন যেমন বহুমুখী, কারণও বহুমুখী। যেমন শারীরিক-মানসিক নিযার্তন, আগুনে পুড়িয়ে, এসিড মেরে, হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে, বিভিন্ন ভাবে নিযার্তন করা হয়। আর যৌতুকের কারণে যে নির্যাতন তাতো থেমে নেই। আর্থিক সংকট, পারিবারিক নানা সমস্যার কারণেও নিযার্তন হয়। নারী নিযার্তন অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে। আর এ অবস্থা থেকে আমরা নিজেরা যদি পরিবর্তিত না হই তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
পুরুষতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ক্ষমতা থাকে পুরুষের হাতে, এ ক্ষেত্রে নারীর অবস্থান থাকে প্রান্তিক। তাই সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষের শাসনের ভিত্তিকে দৃঢ় করে তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী নিযার্তনের ক্ষমতা রাখে। তাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নারীকে একজন মানুষ, কিংবা মানবসম্পদ হিসেবে চিন্তা করতে পারে না।
দেশের মানুষ যখন রিফাত হত্যা, প্রিয়া সাহা, বন্যা পরিস্থিতির ঘটনা নিয়ে আলোচিত ও চিন্তিত, ঠিক তখনই ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুই সন্তানের মা রেনুকে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে দিয়ে দেশে সবার মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এ প্রযুক্তির যুগেও নানাভাবে নারী-শিশু নিযার্তন ও ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পদ্মা সেতুতে শিশুর ‘কল্লা’ দিতে হবে নতুন কৌশল শুরু হয়েছে। এ গুজবে পড়ে নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে আহত ও নিহত করে যাচ্ছে কিছু স্বার্থান্বেষী বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ। এই ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি পড়লে, সরকার বারবার বলে যাচ্ছে এগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী ও দ-নীয় অপরাধ। কাউকে সন্দেহ হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর কথা বারবার বলা হয়েছে। ৯৯৯ নন্বরে ফোন করে পুলিশের পরার্মশ নেওয়ার কথা বলা হলেও তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে পরিকল্পিতভাবে আতঙ্কের মধ্যে রাখছে।
এখন প্রশ্ন হলো যখন ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়, কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে কোন নারীকে হত্যা করা হয়, কিংবা প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করা হয় তখন বুকের ছাতি ফুলানো মানুষরা গণপিটুনি দিতে পারে না। শুধু পদ্মা সেতুতে কল্লা দিতে হবে বলে ছেলে ধরা গুজবে হত্যা করে যাচ্ছে নিরীহ মানুষকে। এদের লক্ষ-উদ্দেশ্যে হলো এই দেশকে ধ্বংসের দিকে প্রসারিত করা।
আবার দেখা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের সাথে ছলচাতুরি করে নানা প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে। এই সম্পর্ক থেকে এক সময় দৈহিক সম্পর্ক তৈরি হয় পরে তা গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে এক প্রকার ভয় দেখিয়ে উদ্দ্যেশ্য হসিল করা হয়। আবার প্রতিবাদ করলে সম্পর্ক স্থাপনের দৃশ্য ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবার ভয় দেখানো হয়। নারীরা এসব জানার পরও লোকলজ্জা, পারিবারিক, সামাজিক মর্যাদার কারণে ভয়ে নীরবে সহ্য করে যায়। নারী নিযার্তনের পাশাপাশি সমান ভাবে শিশু-কিশোরী নিযার্তনও রয়েছে, রয়েছে গণধর্ষণ। প্রতিবাদ করতে গেলে ক্ষমতাবানদের হাতে জীবন দিতে হয়। সংসারে বউয়ের উপর নিযার্তনকারী হিসেবে প্রথমে নাম আসে ননদ-জা বা শাশুড়ির। আগুন ধরিয়ে দেয়া, পিটিয়ে হত্যা করার জঘন্য কাজে সাহায্যকারী হিসেবে জড়িত থাকতে দেখা যায়, বোন-ভাবি, বান্ধবী কিংবা শাশুড়ি। আর শিশু নিযার্তন, সহিংসতা, শিশু পাচার সবসময় হয়ে থাকে ক্ষমতাসীন অথবা ক্ষমতাবানদের ছত্র-ছায়ায়। এসব অন্যায়-অবিচার, সহিংসতা-নিযার্তন বন্ধ করতে হলে সমাজে ক্ষমতাবানদের মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের ৭৮ ভাগ শিশু-কিশোরীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের বাইরে নির্যাতনের শিকার হয়। এরমধ্যে নিজ বাড়িতে আত্নীয়-স্বজন, চাচতো, মামতো, খালতো ভাই বোনের স্বামী, বোনের দেবর, বন্ধু ও অভিভাবকদের দ্বারা শারীরিক, মানসিক নিযার্তনের শিকার হয়। এসবের কারণে তাদের মধ্যে আত্নাহত্যার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। এইসব নিযার্তন বন্ধের জন্য সরকার বেশ কিছু নীতিমালাও প্রণয়ন করেছেন। তারপরও নিযার্তন মুক্ত, ধর্ষণমুক্ত সমাজ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কারণ এইসব আইন ও নীতিমালা সম্পর্কে নারী-শিশু সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও জানে না, জানার চেষ্টাও করে না। পরিবার এবং বিদ্যালয় হচ্ছে একটি শিশু-কিশোরীর নিরাপদ স্থান, সেখানে তারা আজ নিরাপদ নয়। মাত্র কিছুদিন আগে সোনাগাজীর ঘটনা কারো অজানা নয়। লম্পট অধ্যক্ষের যৌন নিপীড়ন রুখে দিতে প্রতিবাদ করেছিল নুসরাত জাহান রাফি। এই প্রতিবাদে ১০৮ ঘন্টা বার্ণ ইউনিটে ৮০ ভাগ পোড়া শরীর নিয়ে এই সুন্দর পৃথিবী থেকে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলো। তার শরীরে জোর করে হাত বেঁধে কেরোসিন জাতীয় পদার্থ ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করলো। এখানেও দেখা যায় একজন নারীকে নিযার্তন কিংবা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার জন্য সার্বিক সহযোগীতা করছে দুই জন নারী। এখানে বলতে হয় নারী, শিশু-কিশোরী নিযার্তনের সাথে নারীরাও জড়িত।
বাবা-মার পর শিক্ষকের স্থান। সে শিক্ষকরা যদি তাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তাহলে এদেশের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা কতোটুকু ভালো আছে? ধর্ষণের পর প্রশাসনের কাছে বিচার চাইতে গেলেও শারীরিক মানসিক নিযার্তনের শিকার হতে হয়। বিরামহীনভাবে চলছে ধর্ষণ, একের পর এক লোমহর্ষক ঘটনা। মানুষের জন-জীবন অস্থির করে দিচ্ছে, স্কুল-কলজে, মসজিদ-মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এমন কি এবতেদায়ী মাদ্রাসা, নূরানি মাদ্রাসা, কিন্টারগার্ডেন সবখানে চলছে নিযার্তন, কিশোরী নিযার্তন! এখানে শুধু মেয়ে শিশু নয়, ছেলেদেরও নিযার্তন হচ্ছে। শিক্ষকতার মহান দায়িত্বে থাকা শিক্ষকটিও নাম লিখাচ্ছেন ধর্ষক নামক জঘন্য কাজে। মানুষ তার ছোট ৬/৭ বছরের শিশুটির আস্থা-বিশ্বাসের জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না। আপন মানুষের প্রতি অবিশ্বাস, নিজের ঘরের বাবা নামক শব্দটিও কেমন অবিশ্বাসের হয়ে গেল। কিছুদিন আগে লোহাগাড়া উপজেলায় আপন পিতা ধর্ষণ করেছে তার কিশোরী কন্যাকে। এর চাইতে জঘন্য ঘৃণ্যতম কাজ পৃথিবীতে আর কি হতে পারে? আজ অনেক অসহায় আমাদের নব প্রজন্ম, নীরবে নিভৃতে কাঁদছে তাদের কচি মন। তাদের মনের অবস্থাটুকু কার কাছে প্রকাশ করবে? তাদের আস্থা- বিশ্বাসের জায়গা আমরা তৈরি করে দিতে না পারলে ভবিষ্যতের নব প্রজন্মরা অন্ধকার জগতে প্রবেশ করবে। তাই যতদ্রুত সম্ভব এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করে, দেশের মানবসম্পদ নব প্রজন্মকে নিরাপদ স্থান নিশ্চিত করতে হবে। আজকের শিশু আগামীর আলোকিত সমাজ।
নারী নির্যাতনের কারণ নিদিষ্ট করতে হবে এবং কিভাবে এর প্রতিকার করলে ফল আসবে তার ব্যবস্থা করতে হবে, যেমন- ইসলাম শান্তির ধর্ম, এই শান্তি অন্তর থেকে মন থেকে শিখতে হবে, শেখাতে হবে। শুধু সরকার আর প্রশাসনের কথা বললে হবে না, এরজন্য দরকার সামাজিক সচেতনতা। নিযার্তনে সরকার দলের হোক, ক্ষমতাবান হোক যে কোন পরিচয়ে বিচার বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। মাধ্যমিক পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ইন্টারনেটযুক্ত মোবাইল, আইপ্যাড ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না, যা দ্বারা অশ্লীল বা আপত্তিকর কিছু দেখতে পারে। উচ্চপর্যায়ে আইসিটি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় সব ধরণে পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধ করে দিতে হবে। ধর্মীয় বেড়াজাল, ইসলাম নারীকে সবচেয়ে বেশি অধিকার দিয়েছেন, কিন্তু নারী নিযার্তনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় ধর্মকে। ধর্মের দোহাই, ধর্মের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। তাই সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে ধর্মীয় মূল্যবোধগুলো জাগিয়ে তোলার জন্য শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, স্কুল-কলজের শিক্ষক, ধর্মীয় প-িত, বিভিন্ন ধর্মের-ধর্মীয় গুরু, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন মিডিয়া, সাংবাদিক দেশের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা নিতে হবে। ইসলাম ধর্মে যৌতুক দেওয়া-নেওয়ার কোন বিধান নাই, তারপরও যৌতুক নারী নিযার্তনের আর একটি সামাজিক ব্যাধি। যৌতুকের কারণে নারীদেরকে বিভিন্ন ধরণের নিযার্তন করা হয়। সমাজে দেখা যায় একটি পরিবারে স্বামী,
শশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদ, জা-ভাসুর বা অন্যান্যরা থাকে। এরাই প্রথমে নারীকে নিযার্তনের জন্য সহযোগিতা করে। তাই নারীদেরকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। তাদের অধিকার সম্পর্কে নিশ্চিত করতে হবে।
নারী-শিশু নিযার্তনের জন্য আইনের কোন ঘাটতি নাই, তারপরও প্রতিদিন নারী-শিশু নিযার্তন বাড়ছেই। এখানে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও অপরাধের বিচার দ্রুত করতে হবে। পাশাপাশি পারিবারিক-সামাজিক, সচেতনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, বৈষম্যমূলক আচরণ, যৌতুক প্রথার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তালাক আইনে আরো কঠোরতা, নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা, নারীর প্রতি পারিবারিক সম্প্রীতির ও নেতিবাচক সামাজিকীকরণ, পারিবারিক সিদ্ধান্তে নারীর অংশীদারিত্বের অভাব, নারীর সচেতনতার অভাব, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর নিরাপত্তাহীনতা, ধর্মীয় কুসংস্কার ও অপব্যাখ্য, ব্ল্যাকমেলিং, লিঙ্গ ভিত্তিক শ্রমবিভাজন, আত্মহত্যার রোধ, পতিতাবৃত্তি পরিহার, জোরপূর্বক বিয়ে, সব বিষয়ে কাউন্সিলিং করতে হবে।
সমাজ দিনদিন অধঃপতনের খাদে নেমে যাচ্ছে বলেই নারী-শিশু এবং সর্বস্তরের মানুষের নিরাপত্তাহীনতা প্রকট হচ্ছে। নাই সামাজিক শাসন, বেড়ে চলছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। প্রভাব পড়েছে সমাজের দেশের প্রতিটি স্তরে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সমাজ ও রাষ্ট্রকে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে। অপরাধকে অপরাধ মনে করতে হবে। তাদের কোন ছাড় না দিয়ে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে এসবের দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে নারী নিযার্তন ও শিশু নিযার্তনের মাত্রা কমানোর সম্ভব হবে বলে মনে করি। আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে নারী, আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের পাশাপাশি সবার দ্বায়িত্ব। সবাইকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ নারীকে তার ন্যায্য অধিকার প্রদান করা কেবল নারীর সুখের জন্য নয় বরং
সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য, সমাজের ও পরিবারের জন্য। আজকের নারী দেশ-সমাজ ও পরিবারের অবিচ্ছেদ অংশ। নারী পুরুষ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, পুরুষ নারীর প্রতিপক্ষও নয়। কাজেই সকলের কল্যাণের জন্য নারী-শিশুদের নিরাপত্তা দেওয়া এদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সমাজ নারী-পুরুষ উভয়কে নিয়ে গঠিত, এতে নারী নারী-পুরুষের উভয়ের অংশগ্রহণ থাকবে। নারীকে তার যৌক্তিক অধিকারে নিরাপত্তা দিয়ে যে কোন কাজ করার সুযোগ দিলে নারী তার দক্ষতা যোগ্যতা প্রমাণ করার সুযোগ পাবে। এ নারী-শিশুরাই এ স্বাধীন দেশকে আলোকিত করবে বিশ্বের দরবারে।

লেখক-সদস্য, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট