চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রত্যাবাসনের জন্য কাউকে না পাওয়া দুঃখজনক : আক্ষেপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রস্তুতির পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ আগস্ট, ২০১৯ | ৮:৩১ অপরাহ্ণ

রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানোর সব ধরনের প্রস্তুতির পরও শেষ মুহূর্তে এসে এ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। রাখাইনে প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ না থাকায় এখনি ফিরতে রাজি নন তারা । রাখাইনের গ্রামে গ্রামে হত্যা-ধর্ষণ আর ব্যাপক জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গারা ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত চারটি শর্তের কথা বলছেন।

তাদের দাবি, প্রত্যাবাসনের জন্য আগে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। জমি-জমা ও ভিটেমাটির দখল ফেরত দিতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাখাইনে তাদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেজন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে নয়াপাড়া-২৬ নং ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত করেন। এ খবরে স্থানীয় লোকজনকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেলেও ওই এলাকার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও কতিপয় এনজিওগুলোর মাঝে কিছুটা স্বস্তির আভাস পাওয়া গেছে।

অপরদিকে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত হবার পর বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মন্তব্য করেছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য কাউকে না পাওয়াটা দুঃখজনক, তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়নি ।

তিনি জানান, ‘আমরা আশা করেছিলাম আজ থেকে স্বল্প আকারে হলেও প্রত্যাবাসন শুরু হবে। তবে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। কিন্তু আমরা আশা ছাড়িনি। আমরা এখনো প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আশায় বুক বেঁধে আছি। আজকের বিষয়টি দুঃখজনক। পরবর্তী সময়ে কী করব, আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।’

যারা প্রত্যাবাসন ঠেকাতে প্রচার চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি আরো জানান, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়ার জন্য শিবিরগুলোতে অনেক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রচারণা চালাচ্ছে। চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গাদের আরামের জীবন থেকে আরাম কমানো হবে, যাতে তারা ফিরতে রাজি হয়।’

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের দেওয়া ছাড়পত্র অনুযায়ী ১ হাজার ৩৭টি পরিবারের মোট ৩ হাজার ৫৪০ জনকে ফেরত নেওয়ার প্রথম তালিকাটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত দুই দিনে ২৩৫টি রোহিঙ্গা পরিবারের মতামত নেয়া হয়েছে। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের অনেকেই সম্মতি দিয়েছেন ।

পূর্বকোণ/তাসফিয়া

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট