চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ডা. জাফরুল্লাহসহ ৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ আগস্ট, ২০১৯ | ৭:৫৪ অপরাহ্ণ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে প্রধান করে মামলা দায়ের হয়েছে ৭৬ জনের বিরুদ্ধে। সাভারের আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনের প্রবেশ গেট সংলগ্ন দু’পাশের স্থাপনা ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে আশুলিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও আসামি করা হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন- গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণস্বাস্থ্যের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, ড. আবদুল কাদের, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, গোলাম মোস্তফা বাবু, আলমগীর হোসেন, সোহেল, আওলাদ হোসেন, রাসেল, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুরতজা আলী বাবু, ডা. রেজাউল হক, ইশরাফিল, জুয়েল রানা, লুৎফর রহমান, আবুল কালাম, আব্দুস সামাদ, মুজাহিদ, সেন্টু, ইকরাম, আরিফ, অন্তুসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭৬ জন।

জানতে চাইলে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন জানান, গণস্বাস্থ্যের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবন প্রবেশ গেটের দু’পাশের পাথালিয়া মৌজার জমি দীর্ঘদিন যাবৎ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভোগ দখল করে আসছে এবং প্রতিষ্ঠানের নামে দলিল, খাজনা খারিজ হালনাগাদ করা রয়েছে। এমতাবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারী নাসির উদ্দিন উল্লেখিত জমি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি দাবি করে গত বছর জোরপূর্বক ভাঙচুর চালিয়ে জবর দখল করে। এসময় পিএইচএ ভবনের নির্মিত নান্দনিক গেটটি এবং গেট সংলগ্ন নিরাপত্তা ভবনও ভাঙচুর চালিয়ে জবর দখল করে সেখানে স্থাপনা তৈরি করে। যা দলীয় শক্তির অপব্যবহার করে অবৈধ পন্থায় সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ারই চেষ্টা।

সেখানে ফুড প্যালেস এন্ড পার্টি সেন্টার নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় গণস্বাস্থ্যের পক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বাদি হয়ে আদালতে জমি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে নাসির উদ্দিন এর নেতৃত্বে তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা অপরাধ সংঘটিত করে হয়রানির উদ্দেশ্যে বয়োবৃদ্ধ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসক, সেবাদানকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এজাহার নামীয় ২১ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে একটি সাজানো মামলায় আসামি করেছে। নাসির উদ্দিন গংদের এহেন মামলার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।

জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাভেদ মাসুদ জানান, নাসির উদ্দিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে গণস্বাস্থ্যের পক্ষেও একটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়েছেন বলেও তিনি স্বীকার করেন।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট