চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সেমন্তির আত্মহত্যা : দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক

২১ আগস্ট, ২০১৯ | ১১:২৬ অপরাহ্ণ

বগুড়ার ওয়াইএমসি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মাঈশা ফাহামিদা সেমন্তির (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সেমন্তির বাবা ব্যবসায়ী হাসানুল মাশরেক রুমন মামলাটি দায়ের করেন।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বগুড়ার সিআইডি পুলিশকে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, বগুড়া জেলার সদর থানার জেল বাগান লেনের জলম্বরী তলার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির আহমেদ এবং নেট প্রো স্কুল সংলগ্ন জলেশ্বরী তলার জিল্লুর রহমানের ছেলে শাহারিয়ার অন্তু। আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগ্ন ছবি ছেড়ে দেয়ার কারণে সেমন্তি আত্মহত্যা করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুন রাতে আসামি আবির আহমেদ বাদীর মোবাইল ফোনে জানায়, সেমন্তি আত্মহত্যা করতে পারে। বাদী তাৎক্ষণিক মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, আবিরের সঙ্গে তার ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। তার কুপরামর্শে সে (সেমন্তি) মোবাইলে কিছু নগ্ন ছবি তোলে। যা সেমন্তির মোবাইল থেকে আবির তার মোবাইলে নিয়ে নেয়। যার মধ্যে একটি ছবি শাহরিয়ার অন্তুর নিকট আবির পাঠায়। পরে দুইজন মিলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। বাদী ঘটনা শুনে মেয়েকে সন্তনা দিলেও ওইদিন রাতের যে কোন সময় সেমন্তি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

মামলায় আরও বলা হয়, ঘটনার রাতে আবির ও অন্তু সেমন্তির সঙ্গে ৯১ বার মোবাইল ফোনে কথা বলে। যা প্রমাণ করে আসামিরা ভিকটিমকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। এছাড়া সেমন্তি মারা যাওয়ার পর আসামি আবির গত ২১ জুন রাতে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সেমন্তির নগ্ন ছবি পাঠায়।

বাদী রুমন জানান, প্রায় ১৫ মাস আগে তার ছোট মেয়ে অসুস্থ হয়। তখন প্রতিবেশী তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির রক্ত দেয়। সেই থেকে দুই পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর সেমন্তি ও আবিরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে আবিরের ফাঁদে পড়ে সেমন্তি। যার পরিণতি হয় আমার মেয়ের আত্মহননের মধ্য দিয়ে।

 

 

পূর্বকোণ/ এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট