চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

শেখ হাসিনার ট্রেনে হামলা : শুনানির জন্য দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিল গ্রহণ

২০ আগস্ট, ২০১৯ | ৭:৪৫ অপরাহ্ণ

পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলা করে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আটজনসহ মোট ৪৩ জনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এ আদেশ দেন। আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এএইচএম কামরুজ্জামান মামুন ও সালমা সুলতানা সোমা আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন

আপিলকারী ৪৩ জনের মধ্যে আটজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, ২২ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ১৩ জন ১০ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। গত ২১ জুলাই মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ সকল আসামির খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। ওই ঘটনায় করা মামলায় নয়জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কে এম আখতারুজ্জামান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির (স্থগিত কমিটি) সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু (পলাতক), কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মোকলেসুর রহমান ওরফে বাবলু, তার ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম ওরফে শাহিন, অপর ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা মাহবুবুর রহমান ওরফে পলাশ, বিএনপি নেতা মো: অটল, ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সভাপতি শ্যামল (নূরে মোস্তফা), স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজিজুর রহমান ওরফে শাহীন ও বিএনপির সাবেক নেতা শামসুল আলম।

এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হন ২৫ জন। ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় ১৩ জনকে। পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: রুস্তম আলী গত ৩ জুলাই এ রায় দেন। একই সাথে, মামলার সকল কার্যক্রম ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। ওই আইনের ৩৭৪ ধারায় বলা হয়েছে, দায়রা আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন, তখন হাইকোর্ট বিভাগের নিকট কার্যক্রম পেশ করতে হবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ অনুমোদন না করা পর্যন্ত দণ্ড কার্যকর হবে না।

পূর্বকোণ/তাসফিয়া

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট