চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদযাত্রায় আড়াইশ দুর্ঘটনা : নিহত ২৯৯

অনলাইন ডেস্ক

২০ আগস্ট, ২০১৯ | ৭:৩৬ অপরাহ্ণ

ঈদুল আযহায় দেশের সড়ক মহাসড়কে ১৯৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫৩ জন নিহত, ৭৬৫ জন আহত হয়েছে (প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক)। সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ২৫০ টি দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত ও ৭৮৮ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

আজ ২০ আগষ্ট (মঙ্গলবার) সকালে নগরীর জাতীয় প্রেস ক্লাব জহুর আহম্মেদ হল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম, এসপিপি (অবঃ) এই তথ্য তুলে ধরেন। সংগঠনটির দুর্ঘটনা গবেষণা ও মনিটরিং সেল এই প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ঈদে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে নানা কথা শুনলেও বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।

রেলপথে সময়সূচির ভয়াবহ বিপর্যয়, অনিয়ম, সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ভাড়া নৈরাজ্য, ফেরী ও লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন, সদরঘাটসহ নৌ টার্মিনাল গুলোতে ভোগান্তি, লোভ ও শৈথিল্যেও বিপর্যয়, নারী যাত্রীদের হয়রানীর মধ্যেদিয়ে শেষ হলো ঈদুল আযহার ঈদ আনন্দ যাত্রা। এবারের ঈদ আনন্দ যাত্রায় স্বস্তি না থাকলেও দুর্ঘটনা কম ছিল তবে ঈদ ফিরতি যাত্রায় ভয়াভহ দুর্ঘটনায় রূপ নেই। যাত্রা পথে বাস, লেগুনা, নৌকা ও বিরতি রেস্তুরায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে চার নারী যাত্রী।

যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ১. যানবাহনের অতিরিক্ত গতি, ২. উপরন্ত ওভারটেকিং এর মানসিকতা, ৩. নগর পরিবহনের অনেক ফিটনেসবিহীন বাস দূরবর্তী রুটে চলাচল, ৪. বৈধ চালক সংকট, ৫. নির্ঘুম অবস্থায় বিরামহীন গাড়ী চালানো, ৬. অতিরিক্ত ট্রিপ দিতে মালিকদের চাপ, ৭. অতিরিক্ত যাত্রী চাপ ও যাত্রীদের তাড়াহুড়ার মানসিকতা, ৮. দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, ৯. মহাসড়কে ছোট যানবাহন অবাধে চলাচল, ১০. আইনের কার্যকর প্রয়োগ না করা, ১১. ঈদ ফেরত যাতায়াতে মনিটরিং ব্যবস্থার শিতিলতা, ১২. নৌযানের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রী না থাকা এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

 সুপারিশমালা: (১) যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, (২) চালকদের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান (৩) চালকদের বিশ্রাম ও কর্মঘন্টা মানার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার শতভাগ বাস্তবায়ন (৪) বৈধ চালক তৈরি করা, (৫) হালকা গাড়ি চালানো লাইসেন্স নিয়ে ভারী গাড়ি চালাচ্ছেন এমন চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া, (৬) মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন করা, (৭) মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া, (৮) রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা, (৯) যাত্রী ও পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, (১০) ঈদযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার স্টাফবাস যাত্রী বহনে ব্যবহার করা এবং প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যানবাহন ভাড়া করা, (১১) ঈদ ফেরত যাতায়াতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা ইত্যদি ।

 

পূর্বকোণ/ তাসফিয়া

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট