বৌভাতের আয়োজন চলছিল অভিজাত হোটেলে। কিন্তু আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ বর নেই সেখানে। বৌভাতের আগের দিন রাতেই অন্য মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই বরকে পুলিশ আটক রেখেছে হাজতে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) খুলনা নগর থানায় ওই হোটেল থেকে পাঠানো হয় বৌভাতের খাবার। পরে হাজাতখানায় বসেই নিজের বৌভাতের অনুষ্ঠানের খাবার খেয়েছেন বর। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ওই বরের নাম শিঞ্জন রায় (২৫)। সে খুলনার আয়কর অফিসের এক কর্মকর্তার ছেলে বলে জানা যায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শিঞ্জন রায় ও অভিযোগকারী ওই মেয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন। দু’বছর আগে শিঞ্জনের সঙ্গে ওই মেয়ের পরিচয় হয়। এক বছর আগে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি শিঞ্জনের পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে তড়িঘড়ি করে ছেলের বিয়ের আয়োজন করেন তারা। বুধবার শিঞ্জনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়। এ খবর পেয়ে মেয়েটি গত বৃহস্পতিবার রাতে শিঞ্জনের বাড়ির সামনে যান। মেয়েটি বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে শিঞ্জন তাকে সেখান থেকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলে-মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় মেয়েটি পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন। এরপর পুলিশ শিঞ্জনকে থানাহাজতে আটক রাখে।
পূর্বকোণ/রাশেদ