চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিশাল ক্ষতির মুখে কওমি মাদ্রাসাগুলো!

অনলাইন ডেস্ক

১৫ আগস্ট, ২০১৯ | ৫:০২ অপরাহ্ণ

প্রতি বছরই ঈদুল আযহায় দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো ভীষণ মনোযোগী থাকে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে। আর চামড়া থেকে আসা অর্থ কওমি মাদ্রাসাগুলোর অর্থনৈতিক চাকা রাখে সচল। গরিব ছাত্রদের পড়ালেখা, থাকা-খাওয়ার পেছনে খরচ করা হয় এ অর্থ। বরাবর এ সহযোগিতা পেলেও এবার কাঁচা চামড়ার দাম কম হওয়ায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কওমি মাদ্রাসাগুলো বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ছে।

কওমি মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সরকার চামড়া মার্কেটটাকে তুলে দিয়েছে কিছু লোকের হাতে। সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানি করতে না দেয়ার ফলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রসেসিং ও ট্যানারিতে পাঠানোটা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তখন মনোপলি এক কন্ট্রোল ট্যানারি মালিকদের হাতে চলে যায়। এ সুযোগটাই ট্যানারি মালিকরা নিয়ে সহজেই সিন্ডিকেট করে পানির দরে চামড়া কেনার সুযোগ নিচ্ছে। সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দিলে ট্যানারি মালিকরা প্রতিযোগিতায় আসতে বাধ্য হবে। তখন পাওয়া যাবে কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম।

কওমি মাদ্রাসা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে মক্তব, ফোরকানিয়া ও কোরানিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৩১টি। এ মাদ্রাসাগুলোয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। কওমি মাদ্রাসার আয়ের অন্যতম উৎস হলো যাকাত, কোরবানির পশুর চামড়া ও চামড়া বিক্রীত অর্থ। মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু ঈদুল আযহার সময়েই কোরবানির পশুর চামড়া থেকে কমপক্ষে চার মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব হয়।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট