চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

আরও পরিণত মিল্কি রেজা

শারমিন আকতার

১৭ আগস্ট, ২০১৯ | ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ

মিল্কি রেজা একাধারে একজন নৃত্যশিল্পী, লেখিকা ও অভিনেত্রী। এর বাইরেও তিনি একজন বিতার্কিক। বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান আয়োজন ও পরিচালনায় রয়েছে তার অসাধারণ দক্ষতা। তিনি ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন (এনডিএফ) এর সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এনডিএফ এর ইতিহাসে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি যিনি এই পদে দায়িত্ব পেয়েছেন।
মাত্র ছয় বছর বয়সে যুক্ত হন নাচের সঙ্গে। তার বাবা মো. মোহসিন রেজা, শিল্প-সংস্কৃতির একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। নাচের শিক্ষক দিপক দত্তের কাছেই সপ্তাহে দুদিন নাচ শিখতেন মিল্কি। সেই থেকেই মিল্কি রেজার নাচের পথচলা শুরু।
এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে ক্লাসিক্যাল ড্যান্সের ওপর তালিম নিতে শুরু করেন। দুবছর টানা প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ২০০২ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা অর্জন করেন। ওই প্রতিযোগিতায় তিনি থানা পর্যায়ে বিজয়ী হয়। এরপর নানা সময়ে আয়োজিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিযোগিতায় সে জেলা ও বিভাগ সকল পর্যায়েই প্রথম স্থান অর্জন করেন। আর তারই পরিক্রমায় সে ২০১৬ সালে জাতীয় আন্তঃকলেজ পুরস্কার প্রতিযোগিতায় বিজয় লাভ করেন।
নাচের বাইরেও পরিচালনার প্রতি ছিল তার প্রবল আগ্রহ। আর সেই আগ্রহের হাত ধরেই কলেজ পর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছেন নকশী কাঁথার মাঠ, মহুয়া এবং চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যে। তার গল্পভা-ার অনেকটাই সমৃদ্ধ। এরপর সিসিমপুর সিজন-সিক্স এর লাইভ অ্যাকশনে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও চ্যানেল আই ও বাংলাভিশনের মতো চ্যানেলের কিছু টেলিফিল্মে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
অভিনয় ও পরিচালনার বাইরে সৃজনশীল লেখালেখির সাথে জড়িত রয়েছেন বহু বছর ধরেই। প্রাতিষ্ঠানিক হাতেখড়ি প্রখ্যাত অভিনেতা ও চ্যানেল আইয়ের নির্মাতা জনাব শহিদুল আলম সাচ্চু এর কাছে।
অভিনেত্রী মিল্কি রেজা এখন পর্যন্ত চারটি নাটক ও একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেন। ভালো এবং অর্থবহ কাজের মাধ্যমে নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করে যেতে চান তিনি।
তিনি বলেন, ‘যখন আমি ঠিকমতো কথাও বলতে পারি না, তখন থেকেই আমাকে প্রস্তুত করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া এবং পুরোটা সময় আমার সাথে থেকে উৎসাহ দেয়ার কাজটা আমার বাবা-মা দুজনেই করেছেন। এছাড়া আমার বড় দুই ভাইয়েরাও আমাকে এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করেছেন। আসলে আমাদের সমাজে পরিবারের সহায়তা না পেলে একা একটা মেয়ের পক্ষে কোনদিনই এতদূর আসা সম্ভব হয় না। আমি খুবই সৌভাগ্যবতী যে আমি এমন একটি সংস্কৃতিমনা পরিবার পেয়েছি। যার কারণে নিজের স্বপ্নটুকু পূরণ করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, এখন অভিনয়টাই নিয়মিত করে যেতে চাই। নিজেকে আরও পরিণত করতে চাই। অভিনয়টাকে আমি খুব ভালোবাসি। সেই ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি। নিজের ইচ্ছাগুলোকে একটু একটু করে পূরণ করতে পেরেছি। অভিনয়টাকে ভালোবেসে এখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। ভালো ভালো কাজের মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরতে চাই। অভিনয় যতটুকু জানি সেটাকে আরও পরিণত করে অর্থবহ কিছু কাজের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে নিজের ক্ষুদ্র প্রয়াসটুকু যদি রাখতে পারি, তাতেই মানুষ হিসেবে আমার সার্থকতা মনে করবো।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট