চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নতুন পিরামিডের সন্ধান

মেহেদী নোভেল

৩০ জুলাই, ২০১৯ | ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

মিসর মানেই রহস্যে ঘেরা একটি দেশ। নিত্যনতুন পিরামিড এবং তার ভেতরকার মমি আবিষ্কার দেশটিকে আলাদা করে রেখেছে অন্য দেশ থেকে। বিজ্ঞান সাময়িকী ইনভার্সের এক খবরে জানা যায়, মিসরীয় একটি প্রত্নতত্ত্বের দল সম্প্রতি প্রায় তিন হাজার ৭০০ বছরের পুরোনো একটি পিরামিডের সন্ধান পেয়েছে।
পিরামিডটি খ্রিস্টপূর্ব ১৬৮০ সালের। অথচ মিসরে মানবসভ্যতার বিকাশ ঘটেছে খ্রিস্টপূর্ব ৩১৫০ সালে। পিরামিডটি সম্ভবত ১৩তম রাজবংশীয় বলে ধারণা করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। কিন্তু তখনকার খুব অল্প নিদর্শন টিকে থাকার ফলে সে সময় সম্পর্কে খুব কম জানেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তবে নব্য আবিষ্কৃত এই পিরামিডের গঠন এখনো ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং এটি ধারণ করছে বৃহৎ হায়ারোগ্লিফিকস নিদর্শন। বর্তমানে গবেষকরা এর পাঠোদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মিসরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আদেল ওকাশা বলেছেন, ‘এখন আমাদের প্রত্নতত্ত্বিক মিশনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে হায়ারোগ্লিফিকস লেখাগুলোর পাঠোদ্ধার করা। পাশাপাশি আমরা এর খননকার্যও চালিয়ে যাব, যাতে করে পিরামিডটির বাকি অংশ এবং এর পেছনের গোপন তথ্য বের করতে পারি।’
প্রত্নতত্ত্ববিদরা এখনো পিরামিডটির সঠিক আকার নির্ধারণ করতে পারেননি। এ ছাড়া পিরামিডটি মাটির নিচে কতটুকু রয়েছে, তা-ও আন্দাজ করা সহজ হচ্ছে না। যতদূর তাঁরা খনন করেছেন, তাতে করে পিরামিডটির করিডোর, অভ্যন্তরীণ দেয়াল, ঢালু পথ, কলামের মতো বাইরের অংশই বের হয়ে এসেছে।
হায়ারোগ্লিফিকস লেখার অনুবাদগত ত্রুটির কারণে এই নতুন আবিষ্কৃত পিরামিডটির সঙ্গে কায়রোর দক্ষিণে ‘দাশহুর’ সমাধির তুলনা করা হচ্ছিল। দাশহুরের বিখ্যাত ‘বেন্ট পিরামিড’ (২৬০০ খ্রিস্টপূর্ব) ছিল মিসরের দৃশ্যমান পিরামিডগুলো বানানোর প্রাথমিক ধাপ। এই পিরামিডটির দেয়াল একটি কোণ সৃষ্টি করে। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, এর নির্মাণশ্রমিকরা এটি নির্মাণের মাঝখানে এর গাঠনিক অস্থায়িত্বের কারণে এর গঠন বদলাতে চেয়েছিলেন।
তবে নতুন আবিষ্কৃত পিরামিডটি এর হাজার বছর পরে নির্মিত হয়। বেন্ট পিরামিডের সম্ভবত ৯০০ বছর পরে এই পিরামিড নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়। এটি মূলত মধ্যযুগীয় রাজত্বের শেষ সময়ে ছিল, যখন প্রাচীন মিসরীয়রা সবাই মিলে পিরামিড বানানো বন্ধ করে দিয়েছিল।
গবেষকরা এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না, কাকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। পিরামিডটির নতুন গঠন দেখে একটি জাঁকজমকপূর্ণ সমাধি বলেই ধারণা করছেন গবেষকরা। যদিও এর আগে দাশহুরের সমাধিতে উচ্চপদস্থ রাজসভাসদদের কবর পাওয়া গিয়েছিল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট