ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গতকাল জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে আলোচনা করতে বার্লিন গেলেন। এদিকে ইইউ তাঁর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। ফলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা বাড়ছে। এখনো অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার প্রচেষ্টা ছাড়তে রাজি নন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আগামী ৩১শে অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদ চান তিনি। তবে সেই বিচ্ছেদ চুক্তির মধ্যে রদবদলের যে দাবি তিনি করে চলেছেন, ইউরোপের কোনো নেতা তা মানতে রাজি নন। মঙ্গলবার তিনি এই মর্মে যে চিঠি লিখেছিলেন, তার প্রতিক্রিয়া এই প্রশ্নে ইইউ-র অবস্থান আবার স্পষ্ট করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও হাল না ছেড়ে জনসন বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল-এর সঙ্গে আলোচনা করতে বার্লিন গেলেন। ইইউ দেশগুলির সরকারপ্রধানদের পরিষদের সভাপতি ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা নিয়ে কোনোরকম আপোশ সম্ভব নয়।
তিনি ইইউ-র অবস্থান ব্যাখ্যা করে মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে আয়ারল্যান্ড সীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণ এড়াতে অন্য কোনো বিকল্পের অভাবে বিমা হিসেবে ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা স্থির করা হয়েছিল। টুস্ক লেখেন, ‘‘যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা কোনো বাস্তব বিকল্পের প্রস্তাব না দিয়ে বরং সীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণের প্রতি সমর্থন দেখাচ্ছে। যদিও তারা এ কথা স্বীকার করছে না।”
জার্মান চ্যান্সেলরও ইইউ-র সম্মিলিত অবস্থান থেকে বিচ্যুতির কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছেন না। অতীতে তিনি বার বার ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তবে সে বিষয়ে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে তিনি ইইউ দেশগুলির বাকি সরকার প্রধানদের মতোই কোনো বিকল্প পথে বিশ্বাসী নন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, পরে কোনো এক সময়ে ইইউ আইরিশ সীমান্তে ‘বাস্তবসম্মত কোনো ব্যবস্থা’ কার্যকর করতে পারবে বলে তিনি আশা করেন। তবে বর্তমান বিচ্ছেদ চুক্তিতে কোনো রদবদল সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে ব্রেক্সিটের প্রশ্নে ইইউ নেতাদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টায় জনসন কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে।