চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মুম্বাইয়ে ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ জুলাই, ২০১৯ | ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

ভারতের দক্ষিণ মুম্বাইয়ে ডোঙরির এলাকায় ১০০ বছরের পুরোনো একটি ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪। মুম্বাই পৌর করপোরেশন এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ২ শিশু সহ ৯ জন মানুষকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ৩টি দল ডোঙরির বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলে সারারাত ধরে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চালায়, ভেঙে ফেলা হয় বাড়িটির ধসে পড়া অংশবিশেষ

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, ‘‘এই বহুতলটি ১০০ বছরের পুরনো ছিল। আমরা এই এলাকাটি পুনর্নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলাম …আমরা তদন্তের পরেই জানতে পারব কেন এই পুনর্নির্মাণের কাজে বিলম্ব হল। এখন আমরা আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করার বিষয়েই জোর দিচ্ছি।’’

দক্ষিণ মুম্বইয়ের জনবহুল এলাকা ডোঙরিতে দ্য কেশরবাঈ নামের বহুতলটি ভেঙে পড়ায় সামনে এল সেই বাস্তব পরিস্থিতি। ১০০ বছরেরও পুরনো এই বাড়িটিতে বাস করত অনেকগুলি পরিবার। অথচ ২০১৭ সালেই এই বাড়িটিকে বিপজ্জনক বাড়ি হিসাবে আখ্যা দেয় মুম্বই পুরসভা। অর্থাৎ বিপদ এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বহুতলকে খালি করে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু না, খাতায় কলমে অতি বিপজ্জনক বহুতল হওয়া সত্ত্বেও ভাঙা হয়নি তখন।

মুম্বই ভবন মেরামত ও পুনর্গঠন বোর্ডের (এমবিআরআরবি) চেয়ারম্যান বিনোদ ঘোষালকার সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে জানান, এই বহুতলটিও একেবারে ভেঙে পুন:নির্মাণের জন্য বিএসবি ডেভেলপারদের কাছে হস্তান্তর করা হয়,  সেই কাজ সেসময় শুরু হয়নি। “এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় এবং আমরা পুন:নির্মাণের এই কাজ কেন শুরু হয়নি সে বিষয়ে তদন্ত করব। এই বিলম্বের কারণ কী তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এদিকে ওই বহুতল ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দার জানিয়েছেন যে, তারা পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য প্রায় তিন বছর সরকারি অফিসগুলিতে ঘুরপাক খেয়েছেন। কিন্তু তারা কোন প্রতিকার পায়নি।

 

পূর্বকোণ/পলাশ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট