চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ক্ষুধাহীনতা একটি খাদ্য গ্রহণজনিত সমস্যা যা সাধারণত স্বইচ্ছাকৃত না খাওয়া থেকে তৈরি হয়। এটি যদিও সকল বয়সী মানুষের হতে পারে তবে ১৬-৩০ বছর বয়সের নারীদের মাঝে এটি বেশি দেখা যায়।

ক্ষুধাহীনতা হলে যা করবেন

মরিয়ম বেগম

৯ মে, ২০১৯ | ২:২২ অপরাহ্ণ

নারীরা তাদের ওজন কম রাখার জন্য অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করে থাকে এবং তা থেকে ক্ষুধাহীনতা তৈরি হয়। এতে তাদের ওজন কমতে থাকে।
অনেক সময় রোগী খাদ্য গ্রহণের পর বেশি খাদ্য গ্রহণ করেছেন বলে মনে করেন এবং স্বেচ্ছায় বমি করতে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ নেয়ার মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। এতে তার দেহে ভিটামিন ও মিনারেলস এর ঘাটতি দেখা দেয়, দেহ দুর্বল হয়ে যায় এবং মারাত্বক পর্যায়ে রোগী মারাও যেতে পারে।
ক্ষুধাহীনতা লক্ষণ
ক্ষুধাহীনতায় খাদ্য সম্পর্কে ভীতি আসে। ফলে সে কম খাবার খেতে শুরু করে।
শারীরিক লক্ষণ
বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন অনেক কম থাকে।
ওজন কম থাকলেও সে মনে করে ওজন বেড়ে গিয়েছে।
নারীদের গর্ভাবস্থায় না থাকার পরেও মাসিক ২-৩ টি বন্ধ থাকা।
খাবারের প্রতি অনীহা।
শুষ্ক ও ভঙ্গুর চুল।
নিজের ইচ্ছায় বমি করা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর লক্ষণ
শরীর এর গঠন ও উপাদান মারাত্বক ভাবে ভেঙ্গে যাবে।
ঠা-ায় হাত পা অবশ হয়ে আসবে।
পেটে ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
চর্বি কমে যাওয়ায় চামড়ায় খসখসে ভাব আসবে।
কানের নিকটবর্তী গ্রন্থি বাড়বে বা ফুলে যাবে।
ক্ষুধাহীনতার কারণ
বিভিন্ন হরমোনের কারণে হতে পারে এটি। অর্থাৎ শরীরে কিছু হরমোন কমে গেলে এমন হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে মারাত্বক অপুষ্টির কারণেও এ রোগ হতে পারে।
পরিবারের কোনো সদস্যের মাঝে এ রোগ থাকলে এটি অন্যদের হতে পারে।
বেশি আত্মবিশ্বাসে মাত্রা হ্রাস পেলেও এই রোগ বাড়তে পারে।
আর এর প্রধান কারণ হলো দেহের গঠন সুন্দর রাখার জন্য ইচ্ছাকৃত বমি করা এবং অতিরিক্ত পরিমান ব্যায়াম করা।
যা করবেন
ক্ষুধাহীনতা খাদ্যের অভ্যাসগত সমস্যা। পুষ্টির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই এর চিকিৎসা সম্ভব। যেহেতু এটি খাদ্যাভ্যাস জাতীয় সমস্যা তাই রোগীকে প্রথমেই সঠিক খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে পরামর্শ দিতে হবে। তার খাবারের প্রতি যে ভীতি তা দূর করতে হবে।
রোগীর বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ক্যালরি চাহিদা বের করতে হবে এবং সঠিক খাদ্য বজায় রাখতে হবে ওজন ঠিক রাখার জন্য। ডিম, দুধ খেতে হবে প্রয়োজন মত। ধীরে ধীরে রোগীর ক্যালরির পরিমান বাড়াতে হবে।
কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে রোগীকে খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প অল্প করে বার বার খাবার দিতে হবে। পরে ধীরে ধীরে উচ্চ ক্যালরির খাবারগুলো দিতে হবে।
জুস, স্যুপ এই জাতীয় খাবারগুলো রোগীকে দিতে হবে, বিশেষ করে যাদের খাদ্যের প্রতি বেশি অনীহা আছে।
প্রতি সপ্তাহে শরীর-এর ওজন নিয়ে দেখতে হবে ওজন বাড়ছে কি না।
[সূত্র : ম্যানস হেলথ]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট