চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সু স্থ থা কু ন

মুখের ঘা হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ

২২ আগস্ট, ২০১৯ | ১:০০ পূর্বাহ্ণ

মুখের ঘা হওয়াকে খুব বড় সমস্যা মনে করেন না অনেকেই। কিন্তু এই ঘা থেকেই হতে পারে আরো জটিল ধরনের সমস্যা। তবে চিকিৎসকরা বলেন, অল্প ব্যথা ও জ্বালা হলে সচেতন হতে হবে কারণ বেড়ে গেলে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। সাধারণত এমন হলে প্রাথমিক অবস্থায় কেউ সমস্যা বুঝতে পারে না। খুব ব্যথা-জ্বালা থাকলে তবেই চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকরা বলেন, মুখে দুই ধরনের ঘা হয়। লাল রঙের ঘা ও সাদা রঙের ঘা। লালচে ঘা হলে খুব বেশি জ্বালা করে। সাদাটে ঘায়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে জ্বালা কম। তবে দুই ধরনের ঘা থেকেই ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। তাই এমন লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দাঁত থেকে হতে পারে : অনেকের সময়ে দাঁতে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে মাড়িতে ঘা হয়। বিশেষ করে দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি থাকলে তা থেকে এমন হতে পারে। আবার ভাঙা দাঁতের অংশের সাথে মুখের যে কোনো ভাগে ঘষা লেগে ক্ষত তৈরি হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এমন হতে তা থেকে মুখে আলসার হয়। মুখের মধ্যে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ইনফেকশন থেকেও এমন ঘা হতে পারে।

কেটে গেলে : দাঁতের কামড়ে গাল অথবা জিহ্ববা কেটে গেলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো কারো আবার বারবার মুখ কামড় লাগার অভ্যাস থাকে। যা দীর্ঘদিন হতে হতে তা থেকে আলসার হতে থাকে।
গরম খেতে গিয়ে : মুখের ভিতর পুড়ে সেই স্থানে বারবার জিহ্ববা বা দাঁতের কামড় পড়লে তা থেকে ঘা হতে পারে। কাজেই এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
কিছু অভ্যাস খারাপ : তামাক জাতীয় দ্রব্য খুবই ক্ষতিকর যা মুখের ঘা থেকে শুরু করে আরো অনেক ধরনের সমস্যা করে। বিশেষ করে সুপারি মুখের ক্ষত তৈরি করে। সুপারি ও তামাক জাতীয় দ্রব্য মুখের ভিতরের ত্বকের নানা পরিবর্তন করে।
দাঁতের পাশে এই সুপারি জমিয়ে রাখলে তা থেকে অ্যালকালয়েড নামক উপাদান নিঃসৃত হয়। যা মুখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নরম চামড়া ক্ষয়ে বা পুড়ে যেতে থাকে। আর এটি ক্যান্সারের একটি কারণও হতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট