ঈদুল আযহা মানেই কোরবানির মাংসের উৎসব। উৎসবের এই দিনে অন্য যেকোনো দিনের থেকে বেশি মাংস রান্না হয়। আর এ কারণেই অতিরিক্ত তৈলাক্ত জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন হৃদরোগীরাও। এরপরেই অসুস্থতা বেড়ে যায় । তবে কিছু নিয়ম মেনে চললেই ঈদের দিনগুলোতেও থাকবেন সুস্থ হৃদরোগীরা।
হৃদরোগীকে খাবার গ্রহণের সময় তেল, চর্বি-মিষ্টির পরিমাণ কম এমন খাবার খেতে হবে পরিমাণমত। তাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সারাদিনে ২৫০০-৩০০০ ক্যালরি গ্রহণ করা যাবে। চর্বি, শর্করা ও আমিষ জাতীয় খাবারের প্রতি গ্রাম থেকে যথাক্রমে ৯, ৪ ও ৪ ক্যালরি খাদ্যশক্তি আসে। চিনি জাতীয় খাবার মোটই বেশি খাওয়া যাবে না। কারণ শরীরে প্রবেশের পর চিনি লিভারে গিয়ে পরিবর্তিত হয়ে যাবে চর্বিতে। তাই আপনার ডায়াবেটিস থাকুক বা না থাকুক চিনি কম খেতে হবে।
খাদ্যের পরিমাণ
ঈদের দিনেই হঠাৎ বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। হজমে সমস্যা হতে পারে। হৃদরোগীর নিজের চাহিদা ও হজম ক্ষমতা হিসাব করে খেতে হবে।
হালকা খাবার
অল্প পরিমাণে ভারী খাবারের সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে কিছুটা হালকা খাবারও। কম চর্বি শোষণ, ভাল হজম ও শরীর ফিট রাখার জন্য সালাদ, বাদাম, আঙ্গুর ও লেটুস পাতা এসব কিছুটা খেতে হবে। অল্প পরিমাণ লেবুর রসও খেতে পারেন।
হৃদরোগীকে চাহিদানুযায়ী সহজে হজম হয় ও কম তেল-চিনিযুক্ত পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া একেবারেই কাঁচা লবণ খাওয়া ও ধূমপান করা যাবে না। পরিমিত, সুস্বাদু ও সহজে হজম হয় এমন খাবার খেলেই হৃদরোগীরা ঈদে থাকবেন সম্পূর্ণ সুস্থ।
পূর্বকোণ/রাশেদ