চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মিল্কভিটার উৎপাদন ও দুধ বিক্রিতে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

৩০ জুলাই, ২০১৯ | ২:২২ পূর্বাহ্ণ

সিসা ও অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি থাকায় বিএসটিআই’র লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধের উৎপাদন, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মিল্কভিটার ক্ষেত্রে শিথিলতা আরোপ করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে মিল্কভিটা আরো ৮ সপ্তাহ দুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারবে। গতকাল সোমবার চেম্বার বিচারপতি নুরুজ্জামান এ সংক্রান্ত আদেশ দেন। এর আগে গত রবিবার প্রাণ, আড়ংসহ ১৪ কোম্পানির বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এছাড়া ৫ সপ্তাহের জন্য পাস্তুরিত সবদুধের উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাস্তুরিত দুধে ক্ষতিকর উপাদান থাকায় ১০টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। সংস্থাটির নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ভাড়ি ধাতবের উপস্থিতি পাওয়ায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ মামলা করার ক্ষমতা প্রদান করেছে। তাই আমি মামলাটি দায়ের করেছি। ১০টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। আগামী মাসের বিভিন্ন দিনে মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
মামলা দায়ের করা ১০টি কোম্পানি হচ্ছে- বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা), বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্কের (ডেইরি ফ্রেশ), ইগলু, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক), আফতাব মিল্ক, শিলাইদহ ডেইরি (আল্ট্রা মিল্ক), আড়ং ডেইরি, প্রাণ মিল্ক, ইছামতি ডেইরি লিমিটেড (পিওর), সেইফ মিল্ক। এর আগে প্রাণসহ ১১টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে সিসার উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বাজারে বিক্রি হওয়া খোলা দুধের নমুনায় ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলেও তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিসিএসআইআর, প্লাজমা প্লাস, ওয়াফেন রিসার্চ, পরমাণু শক্তি কমিশন ও আইসিডিডিআরবি’র ল্যাবে পাস্তুরিত দুধ, খোলা দুধ ও গোখাদ্য পরীক্ষা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট