চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

টিআইবি প্রতিবেদনের সাথে একমত নয় বিজিএমইএ

২৭ এপ্রিল, ২০১৯ | ৩:২৪ পূর্বাহ্ণ

পোশাক শিল্পে সুশাসনের অগ্রগতি নিয়ে দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিজিএমইএ বলেছে, মাত্র ৮০ কারখানাকে উদাহরণ ধরে সমগ্র শিল্পকে ঢালাওভাবে শিল্পকে হেয় করা কোনমতেই কাম্য নয়। পোশাক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মঙ্গলবারই একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি, যাতে বলা হয়েছিল, সর্বশেষ মজুরি বৃদ্ধিতে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি বাড়ার পরিবর্তে উল্টো কমেছে।এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র ব্যাখ্যায় বলা হয়, নতুন মজুরি কাঠামোতে মূল মজুরির উপর বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট সমন্বয় করা হয়নি বলে টিআইবির প্রতিবেদনের আমরা একমত নই। যেখানে ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হলে ৫ বছর শেষে সামগ্রিক ইনক্রিমেন্ট এর হার দাঁড়ায় ২৭.৬৩ শতাংশ, সেখানে মজুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মজুরি কাঠামোতে মূল মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে শুরু করে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত। আমাদের প্রত্যাশা, টিআইবি তাদের গবেষণা পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করবে। কারখানার অবকাঠামোগত খাতে নজর দেওয়া হলেও শ্রমিকদের মূল্যায়নে কাক্সিক্ষত দৃষ্টি দেওয়া হয়নি বলে টিআইবির দাবির উত্তরে বিজিএমইএ বলছে, শ্রমিকের দক্ষতা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটা মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় না। যেখানে শ্রমিক দক্ষতা চীনে ৬৫ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৫৫ শতাংশ ও তুরস্কে ৭০ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশের শ্রমিকদের দক্ষতা মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ। “নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধি এবং দক্ষতার মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের বিষয়টি মজুরি বোর্ড এর বিবেচনায় ছিলো না। আশা করি, ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে মজুরিকে সবসময় দক্ষতার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিজিএমইএ বলছে, এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে যদি টিআইবি ও বিজিএমইএ একসাথে কাজ করতে পারে, তাহলে এ ধরনের তথ্য বিভ্রান্তি এড়ানো সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট