চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করছে সিগারেটের উচ্ছিষ্ট

ফেলে দেয়া সিগারেটের উচ্ছিষ্ট উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে বাধার কারণ হতে পারে, এমনটাই বলছে একটি গবেষণার ফল।

নাসরিন আকতার

১ আগস্ট, ২০১৯ | ১:২০ পূর্বাহ্ণ

(গত সংখ্যার পর)
“আমরা দেখেছি যে, সিগারেটের এই অবশিষ্টাংশ উদ্ভিদের অঙ্কুরোদগমের সফলতা এবং চারা গাছের কা-ের দৈর্ঘ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ঘাস এবং গুল্মের কা-ের ওজন অর্ধেক হ্রাস করে দেয়।”
তাদের গবেষণায় দেখা গেছে সেইসব উদ্ভিদ থেকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গবাদি পশুরা। যারা খাদ্য হিসেবে ওই উদ্ভিদ খেয়ে থাকে এবং শহুরে অঞ্চলের মাটিকে সবুজ করে।
মিজ গ্রিন বলেন, “এইসব উদ্ভিদ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে, এমনকি শহরের উদ্যানগুলোতেও এবং এর মধ্যকার এক জাতের উদ্ভিদ পরাগায়ন ও নাইট্রোজেন বিশ্লেষণ করে পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
সহ-গবেষক ড. বাস বুটস এর সাথে যোগ করেন, “যদিও এটি নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার দরকার, তারপরও আমরা মনে করি যে সিগারেটের ফিল্টারের রাসায়নিক গঠন উদ্ভিদের ক্ষতির কারণ।”
“এগুলোর বেশিরভাগই তৈরি হয় সেলুলোজ এসিসেট ফাইবার দিয়ে, সেটির সাথে আরও কিছু রাসায়নিক যোগ করা হয় যা প্লাস্টিকটিকে আরও নমনীয় করে তোলে, যাকে বলা হয় প্লাস্টিসিজার। এগুলোই উদ্ভিদের বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে থাকে।”
কী বলছে ব্রিটিশ আইন ?
ব্রিটেনের আইনে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার জন্যে জরিমানার বিধান রয়েছে- সেগুলো যদি সিগারেটের উচ্ছিষ্টও হয়। তবে সেটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে থাকে, কেন্দ্রীয় সরকার নয়। লন্ডন শহর কর্তৃপক্ষ বলছে, বছরের অন্তত ৬০ লাখ সিগারেটের গোঁড়া শহরটির রাস্তায় ফেলা হয়।
যদিও যেখানে সেখানে সিগারেটের অবশিষ্টাংশ ছুড়ে ফেলা ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পরে না, তবু ব্রিটেন টাইডি নামে একটি দাতব্য সংস্থা ধূমপায়ীদের এই কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়।
সংস্থার প্রধান নির্বাহী অ্যালিসন অগডেন-নিউটন বলেন যে, এই সিগারেটের উচ্ছিষ্টগুলো বিষাক্ত এবং এগুলো ও প্লাস্টিক আমাদের জলজ ও সামুদ্রিক পরিবেশের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ।
তিনি বলেন যে, এই গ্রহটিকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে ধূমপায়ীদের দায়িত্ব নিতে হবে। (শেষ)
[সূত্র : ডয়চে ভেলে]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট