চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বেড়েছে পাশের হার ও জিপিএ-৫

সুখবর প্রাথমিক ইবতাদায়ীতে

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ | ১:২০ অপরাহ্ণ

দেশের সবচেয়ে বড় ‘পাবলিক পরীক্ষা’ খ্যাত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুটির সংখ্যা বেড়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পাশের হার হচ্ছে ৯৭.৯৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১৮৪ জন শিক্ষার্থী। যেখানে গতবছর পাশের হার ছিল ৯৬.১৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫ হাজার ১১৫ জন শিক্ষার্থী। পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে সাতকানিয়া উপজেলা। সেখানে পাশের হার হচ্ছে ৯৯.৯৫ শতাংশ। গতকাল সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিরুল কায়ছার এসব তথ্য জানান।
এছাড়া, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবছরের পাশের হার হচ্ছে ৯৫.৮৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৯৯ জন শিক্ষার্থী। গতবছর ইবতেদায়ী পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৯০.২৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৭০ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় এবছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপানী পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে এবং পাশের হার বেড়েছে ১.৮১ শতাংশ। একইভাবে, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গতবছরের তুলনায় এবছর জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ৫২৯ জন শিক্ষার্থী এবং পাশের হার বেড়েছে ৫.৫৮ শতাংশ।
প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এ বছর নগরীর ৬ টি থানা ও ১৪ টি উপজেলা থেকে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ২৬ শিক্ষার্থী পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৭৪ জন। তাদের মধ্যে থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১৮৪ জন শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ৮৫২ জন। নগরীর কোতোয়ালী থানা থেকে ৬ হাজার ৯১৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ হাজার ৮৮৩ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬০৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৬ জন শিক্ষার্থী। চাঁন্দগাও থানা থেকে ৭ হাজার ৪১৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ হাজার ৩০৯ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৪৬ জন শিক্ষার্থী। পাঁচলাইশ থানা থকে ৮ হাজার ৬০৬ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮ হাজার ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬৬৩ জন শিক্ষার্থী। বন্দর থানা থেকে ৭ হাজার ৩২০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৭ হাজার ২৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩১১ জন। পাহাড়তলী থানা থেকে ৫ হাজার ৯৩৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৫ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৩৫ জন শিক্ষার্থী। ডবলমুরিং থানা থেকে ৮ হাজার ৮৮৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৮ হাজার ৫২৮ জন শিক্ষার্থী এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৭১ জন।
এছাড়া, বাঁশখালী উপজেলায় ৮ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮ হাজার ৬৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৩২ জন শিক্ষার্থী। রাউজান উপজেলা থেকে ৬ হাজার ২৩৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৬ হাজার ৭৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৯৪ জন শিক্ষার্থী। সন্দ্বীপ উপজেলায় ৫ হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৫ হাজার ২৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৪ জন শিক্ষার্থী। ফটিকছড়ি উপজেলায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৯ হাজার ৭৩০ জন এবং তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ ৯ হাজার ৬১০ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৩২ জন শিক্ষার্থী। পটিয়া উপজেলা থেকে ৯ হাজার ৯০২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯ হাজার ৭২০ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫৮ জন শিক্ষার্থী। আনোয়ারা উপজেলা থেকে ৫ হাজার ৫০৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪৯ জন। বোয়ালখালী উপজেলা থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৪ হাজার ৫৬০ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৯ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০৬ জন শিক্ষার্থী। লোহাগাড়া উপজেলা থেকে ৫ হাজার ৮৩৫ জন অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫ হাজার ৬৭৭ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১৮ জন শিক্ষার্থী।
একইভাবে চন্দনাইশ উপজেলা থেকে ৩ হাজার ৯১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ হাজার ৭৯৩ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২৯ শিক্ষার্থী। হাটহাজারী উপজেলা থেকে ৭ হাজার ৬৮৫ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ হাজার ৪৫৮ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫৫ জন। রাঙ্গুনীয়া উপজেলা থেকে ৬ হাজার ২৭২ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ হাজার ৬ হাজার ১৫৯ শিক্ষার্থী এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১৪ জন। মিরসরাই উপজেলা থেকে ৭ হাজার ২২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৭ হাজার ১০৩ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৪৫ শিক্ষার্থী। সীতাকু- উপজেলা থেকে ৭ হাজার ৪৭৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ হাজার ৩৬৯ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৯৬ শিক্ষার্থী। সাতকানিয়া উপজেলা থেকে ৭ হাজার ৫০৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ হাজার ৫০৪ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৯৭ শিক্ষার্থী।

শেয়ার করুন