চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

চালকদের ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করা হোক

১৮ আগস্ট, ২০১৯ | ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি বড় সমস্যা। দুর্ঘটনা ঘটুক তা কোন ড্রাইভারের চাওয়া না হলেও গাড়ি চালানোর সময় অসাবধানতা, অন্য গাড়ীর সাথে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ধুমপান পাশাপাশি বহু ড্রাইভার মাদক গ্রহণের মাধ্যমে গাড়ী চালানোর ফলেই অধিকাংশ দুর্ঘটনা হয়, যাতে নিঃশেষ হয় ড্রাইভার-হেলপার-কন্ট্রাক্টার সহ বহু যাত্রীর তাজা প্রাণ।
সারা দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হওয়ার ফলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে এমন ধারণা করা হলেও সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা পূর্বের তুলনায় বেড়েছে বহুগুণে, বিশ্বরোডগুলোর চেয়েও বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে মহানগরী, জেলা উপজেলা শহরগুলোর ব্যস্ত রাস্তাতে। যেখানে গণপরিবহনের ড্রাইভারদের মধ্যে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অনেকেই বিড়ি, সিগারেট সহ মাদক দ্রব্য সেবনের মাধ্যমে ড্রাইভিং করার ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে নিয়মিতই। সেই সাথে মোবাইল ফোনে কথার কারনেও বহু দূর্ঘটনা ঘটে, পত্রিকার পাতায় এমন খবর প্রায়ই শোনা যায়।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগরীতে কোন চালক গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে চালককে আটক করা সহ গাড়ি জব্দ করতে ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপির কমিশনার। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতেই নয়, প্রতিটি মহানগরী সহ জেলা-উপজেলায় দায়িত্ববান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এমন নির্দেশনা প্রদান এবং বাস্তবায়ন করা এখন সময়ের দাবি।
মানুষের কাছে অমূল্য সম্পদ তার প্রাণ, সেই প্রাণ যখন ড্রাইভারদের অবহেলা ও অনিয়মের কারনে বিপন্ন হবে, তা কখনোই কাম্য নয়। ড্রাইভিং করার সময় ড্রাইভাররা নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা মনে রাখার পাশাপাশি মানুষের জীবনের মূল্য অনুধাবন করে গাড়ি চালালে সড়ক দুর্ঘটনা আশানুরূপ কমে যাবে নিঃসন্দেহে, সেই সাথে গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার, ধূমপান ও মাদক দ্রব্য সেবনের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান, প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন সহ তা বাস্তবায়ন করা জরুরী, মনে রাখতে হবে মানুষের জীবনের চেয়ে গাড়ি চালানোবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা, ধূমপান-মাদকদ্রব্য সেবন করা কিংবা আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা বড় নয়। সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদেরই সকল ব্যবস্থা করতে হবে।

জুবায়ের আহেমদ
শিক্ষার্থী, ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম, অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া (বিজেম), ঢাকা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট