চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

নীতি-নৈতিকতা ও বঙ্গন্ধুর নির্দেশনা শীর্ষক সেমিনারে ইঞ্জি. মোশাররফ

বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক পথে অবিচল থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৪০ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধুর মত দৃঢ়চেতা দেশপ্রেমিক
নেতা বিশ্বে বিরল : অনুপ সেন

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে অনন্তকাল পথ হারাবে না বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতি মেধা-মননে অনন্য উচ্চতায় বিশ্ব দরবারে আসিন হবে। নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শে অবিচল থেকে বাঙালি জাতিকে তিনি সেভাবে পরিচালিত করতে চেয়েছেন। সামরিক-বেসামরিক আমলাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের উদ্দেশ্যে সততা ও নিষ্ঠার সাথে স্বীয় কর্ম সম্পাদনের নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি তিনি দুর্নীতির প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছিলেন। দুর্নীতিমুক্ত হলেই দেশ অচিরেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহম্পতিবার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘নীতি-নৈতিকতা ও বঙ্গন্ধুর নির্দেশনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এম.পি। প্রধান আলোচক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস গবেষক সাংবাদিক মুহাম্মদ শামসুল হক। সূচনা বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম.এ সালাম। সেমিনার পরিচলনা করেন সংগঠনের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।

ড. অনুপম সেন বলেন, বঙ্গবন্ধু নীতি-আদর্শে বলীয়ান হয়ে জনমানসে অসাধারণ হতে পেরেছিলেন। তার মত দৃঢ়চেতা দেশপ্রেমিক নেতা সমকালীন বিশ্বে বিরল। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তিনি নীতির প্রশ্নে কোনদিন আপোষ করেননি। দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে জাতির পিতার সপরিবার হত্যাকান্ডের মাধ্যমে খুনি চক্র ও তাদের কুশীলবরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সকল অর্জন মুছে দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবাদর্শে ফিরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালায়। বহু সংগ্রাম আর রক্তদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আবার আদর্শিক পথে ফিরে এসেছে এবং অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নীতি-আদর্শে অবিচল থাকতে হবে।

ভিসি ডা. ইসমাইল খান বলেন, বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন প্রচলিত ব্যবস্থায় দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নেয়া এবং দু:খ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো দূরূহ। সাবোট্যাজ, ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হলে সমগ্র ব্যবস্থারই পরিবর্তন দরকার। সেটা উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু সমাজের কল্যাণকামী, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক প্ল্যাটফরমে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি জাতি হিসেবে মানসিকতার পরিবর্তন ও রূপান্তর ঘটানোর উপর গুরত্বারোপ করেন।
উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য স্বজন কুমার তালুকদার, শাহাজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, মহিউদ্দিন বাবলু, জসিম উদ্দিন শাহ, এডভোকেট ভবতোষ নাথ, কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট এম.এ নাসের চৌধুরী, দিদারুল আলম বাবুল, জাফর আহমেদ, এস.এম শফিউল আজম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট