চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রুমা অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

দুই চালকের মুক্তি হলেও অপর চালকের মুক্তিপণ ১০ লক্ষ টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা , বান্দরবান

২২ আগস্ট, ২০১৯ | ২:২২ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের রুমা থেকে অপহৃত তিন জন চাঁদের গাড়ি (জীপ) চালকের মধ্যে দুজনকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে অপর জীপ চালক বাসু কর্মকারের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসীরা মোহাম্মদ মিজান ও নয়ন জলদাসকে ছেড়ে দেয়। তারা ছাড়া পেয়ে রুমা উপজেলার মুন্নুয়াম পাড়া সেনা ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় রুমা উপজেলার মুন্নুয়াম পাড়া সড়ক থেকে সন্ত্রাসীরা চাঁদের গাড়ির ৩ চালকসহ ৬ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা চাঁদের গাড়ির তিন সহকারী ও একদিন পর ২ চালককে মুক্তি দেয়। তবে অপর গাড়ি চালক বাসু কর্মকারকে এখনো মুক্তি দেয়নি সন্ত্রাসীরা। অপহৃত বাসু কর্মকারের পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহৃত উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও পুলিশের

অভিযান চলছে। এদিকে বুধবার সকালে অপহরণ ঘটনার প্রতিবাদে শহরের প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও সচেতন নাগরিক সমাজের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। আগামী তিনদিনের মধ্যে আপহৃত গাড়িচালক বাসু কর্মকারকে না ছাড়লে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী আব্দুল ওহাব, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মুজিবুর রহমান, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আইয়ুব, বাঙালি ছাত্র পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ: সমাবেশে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদেক হোসেন চৌধুরীর পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লাকে জড়িয়ে অসত্য বক্তব্য দেয়া হয়েছে।

দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত কাজী মুজিবুর রহমান বিভিন্নভাবে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধচারণ থেকে শুরু করে নানা অপতৎপরতার কারণে তাকে অনেক আগেই নেতাকর্মীরা প্রত্যাখান করে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। দলে কোনভাবে জায়গা পাওয়ার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর কাজী মুজিব মাঠ ঘোলা করে ফায়দা লুটার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগে থেকে বান্দরবানের সম্প্রীতি বিনষ্টের যেভাবে অপচেষ্টা করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছিল এই ব্যক্তি, ঠিক একই চরিত্রে আবির্ভূত হয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ব্যানার ধরেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ, পার্বত্য বান্দরবানের পাহাড়ি-বাঙালি তথা সকল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বশীল একটি অসাম্প্রদায়িক সংগঠন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি পার্বত্য এলাকায় যেভাবে উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে, এলাকার অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টী যেভাবে শিক্ষা-দীক্ষায় সামাজিকভাবে এগিয়ে চলেছে সে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট