চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বান্দরবানে আবুল খায়েরের বিক্রয়কর্মী অপহৃত

রুমায় ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে তিন চালককে অপহরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা , বান্দরবান

২১ আগস্ট, ২০১৯ | ২:১৭ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের রুমা থেকে অপহৃত চাঁদের গাড়ির তিন চালকের মুক্তিপণ বাবদ সন্ত্রাসীরা ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপহৃত গাড়িচালকদের পরিবারের কাছে এই অর্থ দাবি করে। তবে সন্ত্রাসীরা চলতি মাসের প্রথমদিকে চাঁদের গাড়ির চালক সমিতির কাছে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে চিঠি দেয়। দাবিকৃত চাঁদার অর্থ না পেয়েই তারা এ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পরিবহন শ্রমিক নেতারা ধারণা করছেন। রুমা চাঁদের গাড়ির মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার সকালে অপহরণকারীরা ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে।

এদিকে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির ১৪ দিনের মাথায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটালো। অপহৃত চাঁদের গাড়ি চালক বাসু কর্মকারের ভাই বিনোদ কর্মকার জানিয়েছেন সকালে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ভাইয়ের পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এছাড়া অপহরণকারীরা পরিবহন মালিক সমিতির নেতাসহ চাঁদের গাড়ির চালকদের সাথেও কথা বলে। তবে দুপুর নাগাদ তাদের সাথে আর কোন যোগাযোগ করা যায়নি। গত সোমবার বিকেলে একদল সন্ত্রাসী রুমা মুন্নুয়াম পাড়া সড়ক থেকে চাঁদের গাড়ির চালক বাসু কর্মকার, মোহাম্মদ মিজান ও নয়ন জলদাসসহ ৬ জনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে রাতে সন্ত্রাসীরা চাঁদের গাড়ির তিন চালকদের রেখে অপর তিন সহকারীকে ছেড়ে দেয়। মুক্তি পাওয়া তিন চালক সহকারীরা হল সুমন মারমা, মিল্টন কর্মকার ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এখনো পর্যন্ত অপহৃত তিন চালকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে রুমার সম্ভাব্য জায়গায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। রুমার পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন সন্ত্রাসীদের প্রতিবছরই মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে দুর্গম এলাকায় তাদের গাড়িগুলো চালাতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলেই অপহরণের ঘটনা ঘটানো হয়। কারা অপহরণ করেছে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত করে কিছু না বল্লেও স্থানীয়রা বলছেন মগ লিবারেশন পার্টির সদস্যরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন অপহরণকারীরা সকালে অপহৃতদের পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ চেয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অপহৃতদের নিয়ে সন্ত্রাসীরা কোন জায়গায় রয়েছে তা বের করতে সেনাবাহিনী পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট