চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মাসিক পর্যালোচনা সভায় ডিআইজি

ইয়াবা পাচার রোধে সীমান্তে টহল জোরদার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ আগস্ট, ২০১৯ | ২:১২ পূর্বাহ্ণ

ইয়াবা এখন আগের মতো আর কক্সবাজার দিয়ে আসে না। ভারত ঘুরে বিভিন্ন সীমানা দিয়ে দেশে ইয়াবা ঢুকছে। তাই পুলিশকে কেবল কক্সবাজারের দিকে তাকিয়ে না থেকে সীমানা এলাকাগুলোতে টহল ও কার্যক্রম জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পুুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক নিজেদের কাজ ও সাফল্য অধিক হারে ফেসবুকে প্রচারের জন্য উপস্থিত কর্মকর্তা ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। তিনি জঙ্গিবাদের বিস্তার, ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা, গুজব প্রতিরোধসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে পুলিশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহবান জানান। আগস্টকে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো মাস দাবি করে সব পুলিশ সদস্যকে সতর্কভাবে কাজ করারও আহবান জানান তিনি। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা। সভায় গত একমাসে সেরা কাজের জন্য ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। এরমধ্যে শ্রেষ্ঠ এএসআই হন লক্ষ্মীপুর জেলার

রামগঞ্জ থানার মো. সুলতান মাহবুব, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার এএসআই আবদুর রহিম, শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার এসআই সাব্বির আহমদ, শ্রেষ্ঠ অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারকারী অফিসার টেকনাফ থানার এসআই সুজিত চন্দ্র দে, শ্রেষ্ঠ ডিএসবি ওয়াচার কক্সবাজার জেলার বিশেষ শাখার কনস্টেবল মো. শাহাদাত হোসেন, শ্রেষ্ঠ এসআই কক্সবাজার সদর থানার প্রদীপ চন্দ্র দে, শ্রেষ্ঠ ডিবি অফিসার নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সাঈদ মিয়া, শ্রেষ্ঠ ডিবি নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং শ্রেষ্ঠ জেলা হলো চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
এর বাইরে চার পুলিশ কর্মকর্তাকে শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়। তারা হলেন, সীতাকু- থানার এসআই মো. আবদুল মজিদ সরকার, ফটিকছড়ি থানার এসআই আরিফুল ইসলাম অপু, কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনর রশিদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. জিয়াউল হক। এর বাইরে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইউনিট, শ্রেষ্ঠ আদালত পুলিশ পরিদর্শক, শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং মনোনীত সদস্য, শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার, শ্রেষ্ঠ থানা এবং শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসারদেরও পুরস্কার দেওয়া হয়। কক্সবাজার জেলার উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাল আদনান তাইয়ান টানা তৃতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম রেঞ্জের আওতাধীন ১১টি জেলায় পর্যায়ক্রমে মাসিক এই অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি মাসে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো। নগরীর হালিশহর এলাকায় অবস্থিত জেলা পুলিশ লাইনের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় ১১ জেলার পুলিশ সুপার ছাড়াও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, সার্কেল পুলিশ সুপার এবং ডিআইজি কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট