চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মইজ্জারটেকে সহিংসতার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব সংবাদদাতা , কর্ণফুলী

২১ আগস্ট, ২০১৯ | ২:১২ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী উপজেলায় পেয়ারা বিক্রেতাকে মহানগর ডিবি পুলিশের মারধরের জেরে পেয়ারা বিক্রেতার মৃত্যু গুজবকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) কর্ণফুলী থানা পুলিশ বাদি হয়ে ২৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১২০/১৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সহিসংতায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, পেয়ারা বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই জাহিদ আজিজ ও কনস্টেবল রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ১নম্বর ওয়ার্ড মাঝির গোষ্ঠীর বাড়ির আমান উদ্দিনের পুত্র এনাম হোসেন প্রকাশ আকাশ (২২),

একই এলাকার মো. ইউনুছের পুত্র আসিফুর রহমান ইমন (২০), শিকলবাহা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নুর আহমদ ফকিরের বাড়ির মো. মানিকের পুত্র মো. রাব্বি (২০), চরলক্ষ্যা ১নম্বর ওয়ার্ড লেদু মাঝির গোষ্ঠীর বাড়ির জালাল আহমদের পুত্র আবদুল মান্নান (৩৫)। এদেরকে সোমবার রাতেই ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছিল পুলিশ। গতকাল মইজ্জারটেক এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পেয়ারা বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার (ডিবি) মো. গোলাম সরওয়ারকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম ও জাবেদ উল ইসলাম। গতকাল থেকে তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার (ডিবি) মো. গোলাম সরওয়ার দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, অভিযুক্ত এএসআই জাহিদ আজিজকে ইতিমধ্যে ক্লোজড করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষ্য নিয়েছি। তদন্ত রির্পোটের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কর্ণফুলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. জোবাইর সৈয়দ বলেন, মইজ্জাটেকে পেয়ারা বিক্রেতার মৃত্যু গুজবকে ঘিরে সরকারিকাজে বাধা প্রদান, ইট পাটকেল ছুঁড়ে রক্তাক্ত জখম, ভাংচুর পূর্বক ক্ষতি করার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে অপরাধের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের গতকাল (মঙ্গলবার) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯ আগস্ট ডিবি’র বন্দর জোনের একটি টিম কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় অভিযানে গেলে টিমের এক সদস্য এএসআই জাহিদ একজন পেয়ারা বিক্রেতার কাছ থেকে পেয়ারা কেনেন। পেয়ারার দাম নিয়ে দু’জনের কথা কাটাকাটির জের ধরে ডিবি পুলিশের এএসআই জাহিদ আজিজ ও কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম পেয়ারা বিক্রেতাকে মারধর করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট