চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘শোক সন্তাপের হে পিতা’

২১ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

৭৫ এর ঘাতকরা মনে করেছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই বাংলার সমৃদ্ধির চাকা অচল করতে পারবে। বাঙ্গালির হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে পারবে। তারা ভুলে গেছে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদন করে ‘শোক সন্তাপের হে পিতা’ অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী একথা বলেন।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সম্মিলিত আবৃত্তি জোট আয়োজন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদন করে ‘শোক সন্তাপের হে পিতা’ অনুষ্ঠানের। সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি ফারুক তাহেরের সঞ্চালনায় কথামালা পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ, দেশের জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য রূপা চক্রবত্তী, বেলায়েত হোসেন, মাসকুর এ সত্তার কল্লোল ও বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. শাহাদাত হোসেন নিপু। দেশ বরেণ্য এ শিল্পী ও কবিদের অংশগ্রহণে আবৃত্তি, কবিতাপাঠ ও কথামালাসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে গতকাল দুইদিনের এ অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। এসময় অতিথিরা বলেন, শুধু বিদেশি শত্রুরাই নয়, বরং এদেশে জন্ম নেয়া কিছু বেঈমান বিপদগামী মানুষ হত্যা করেছে বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে। তাঁরা মনে করেছে এভাবে বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখা যাবে। তারা এক মুজিবকে হত্যা করেছে ঠিকই। কিন্তু বাংলার ঘরে ঘরে এমন হাজার মুজিবকে তিনি তৈরি করে গেছেন তার আদর্শের মধ্যদিয়ে। তারাই বাংলাকে তাঁর আদর্শে গড়বেন। সেই জাতির পিতার আদর্শে পথ চলবে আমাদের আগামী প্রজন্ম। তাঁর আদর্শকে বুকে লালন করবে তারা। জানবে ইতিহাসের সঠিক তথ্য। তিনি বাঙালিকে শিখিয়েছেন ঐক্যের জয়গান। তাইতো তিনি বলতেন প্রথমে আমি মানুষ, আমি বাঙালি, তারপর আমি মুসলমান। তাই এ বাংলা সবার। কারো একার সম্পত্তি নয়। অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্ব শেষে কবি আলী প্রয়াসের সঞ্চালনায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদন করে কবিতা পাঠ করেন কবি ফাউজুল কবির, সাথী দাশ, রিজোয়ান মাহমুদ, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ওমর কায়সার, হোসাইন কবির, সেলিনা শেলী, জিল্লুর রহমান, কামরুল হাসান বাদল, সাজিদুল হক, মোহাম্মদ জোবায়ের ও মনিরুল মনির। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন ফেনীর আবৃত্তি শিল্পী পূবালীর সভাপতি সমরজিৎ দাশ টুটুল, ঢাকা স্বরকল্পনের সভাপতি ফয়জুল্লাহ সাঈদ, ঢাকার ত্রিলোকের সভাপতি মাসুম আজিজুল বাসার, ঢাকার হরবোলার সভাপতি মজুমদার বিপ্লব, ঢাকার কন্ঠশীলনের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, স্বণন ঢাকার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান, কুমিল্লার কারুকন্ঠ আবৃত্তি পাঠশালার সভাপতি আবু নাছের মানিক, ঢাকার মুক্তধারা আবৃত্তি সংগঠনের তামান্না সারোয়ার নীপা, ঢাকার চারুকন্ঠের জি এম মোর্শেদ, সিলেটের শ্রুতির পরিচালক সুকান্ত গুপ্ত, মাদারীপুরের ধৈবত আবৃত্তি ভূমির সভাপতি ইমরান সাগর, কুমিল্লার কন্ঠসাধনের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার নাঈম, ময়মনসিংহের উদয়দিগঙ্গণের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রুবেল। বৃন্দ আবৃত্তি করে জোটভূক্ত সংগঠন বোধন আবৃত্তি পরিষদ, দৃষ্টি চট্টগ্রাম, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ, অঙ্গণ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, একুশ আবৃত্তি ও মানবিকতা চর্চা কেন্দ্র, উদীড়ন আবৃত্তি নীড় এবং পান্ডুলিপি আবৃত্তি দল। দুইদিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী, প্রণব চৌধুরী, শাহরীয়ার তানজিম, জেবুন নাহার শারমিন, শারমিন মুস্তারী নাজু, অণির্বান চৌধুরী এবং উমেসিং মারমা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট