বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে অপহৃত চাঁদের গাড়ির তিন চালকের মুক্তিপণ বাবদ  ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপহৃত গাড়ি চালকদের পরিবারের কাছে এ অর্থ দাবি করে। তবে সন্ত্রাসীরা চলতি মাসের প্রথমদিকে চাঁদের গাড়ির চালক সমিতির কাছে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে চিঠি দেয়। দাবিকৃত চাঁদার অর্থ না পেয়েই তারা এ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে  ধারণা করছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।

রুমা চাঁদের গাড়ির মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে অপহরণকারীরা ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির ১৪ দিনের মাথায়  অপহরণের এ ঘটনা ঘটালো সন্ত্রাসীরা। অপহৃত চাঁদের গাড়ির চালক বাসু কর্মকারের ভাই বিনোদ কর্মকার বলেন, সকালে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ভাইয়ের পরিবারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

এছাড়া অপহরণকারীরা পরিবহন মালিক সমিতির নেতাসহ অন্যান্য চাঁদের গাড়ির চালকদের সাথেও কথা বলে। তবে দুপুর নাগাদ তাদের সাথে আর কোন যোগাযোগ করা যায়নি। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে রুমার সম্ভাব্য জায়গায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। রুমার পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের প্রতি বছরই মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে দুর্গম এলাকায় তাদের গাড়িগুলো চালাতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলেই অপহরণের ঘটনা ঘটানো হয়।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, অপহরণকারীরা সকালে অপহৃতদের পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ চেয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অপহৃতদের নিয়ে সন্ত্রাসীরা কোন জায়গায় রয়েছে তা বের করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে একদল সন্ত্রাসী রুমা ‍উপজেলার মুন্নুয়াম পাড়া সড়ক থেকে চাঁদের গাড়ির চালক বাসু কর্মকার, মোহাম্মদ মিজান ও নয়ন জলদাস এবং তাদের সহকারী মোট ছয়জনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে রাতে সন্ত্রাসীরা চাঁদের গাড়ির তিন চালকদের রেখে তাদের তিন সহকারীকে ছেড়ে দেয়। মুক্তি পাওয়া তিন চালক সহকারীরা হল- সুমন মারমা, মিল্টন কর্মকার ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এখন পর্যন্ত অপহৃত তিন চালকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পূর্বকোণ/মিনার-রাশেদ