পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আইন লংঘন ও জোর করে দায়িত্ব গ্রহণের চেষ্টার অভিযোগে দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে সদ্য পদায়নকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জহির উদ্দিন। মামলাটি আমলে নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার খাগড়াছড়ি কগনিজেন্স আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোরর্শেদুল আলমের আদালতে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের আহবায়ক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় পার্থ ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের হস্থান্তরিত বিভাগ। জেলা পরিষদের আইন ১৯৮৯ এর ২৩(খ) ধারার অধিনস্থ এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেন দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় কামাল হোসেন বদলি ও পদায়নের ফলে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ৭ আগস্ট সকাল ১১ টায় জেলা পরিষদের কোন যোগদান পত্র ছাড়া তিনি অফিস দখলের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করা হয় এতে।

মামলায় মো. কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুজব ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের আহবায়ক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় বলে উল্লেখ করেন পার্থ ত্রিপুরা।

পার্থ ত্রিপুরা জানান, গত ১১ জুলাই খাগড়াছড়ি চলতি জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদায়ন ও বদলির আদেশ বাতিলের জন্য গত ২৫ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগকে জেলা পরিষদ অনুরোধ জানান । কিন্তু জেলা পরিষদকে অবজ্ঞা করে বেআইনি ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষা না করে মো. কামাল হোসেন সন্ত্রাসী কায়দায় দায়িত্ব গ্রহনের চেষ্টা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের আইন লংঘন করেছেন। এ ঘটনার জন্য খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সর্ব সম্মতিক্রমে আইনি পন্থায় অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে এ মামলা করেছে বলে জানান তিনি ।

পূর্বকোণ/আল-আমিন