চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যা¤েপ আনন্দ বেদনার ঈদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, উখিয়া

১৮ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

আনন্দ- বেদনায় ঈদুল আজহা পালন করেছে কক্সবাজারের উখিয়া- টেকনাফের ৩২ ক্যা¤েপ আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। ঈদের নামাজের সময় খুতবা চলাকালে নিজেদের দেশ ও স্বজনদের স্মৃতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইমামসহ রোহিঙ্গা মুসল্লিরা। মাঝ বয়সী থেকে বয়স্ক রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাতৃভূমি রাখাইন ফিরে যাওয়ার করুণ আকুতি ভেসে উঠে।মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর নির্যাতনে প্রাণ হারানো স্বজনদের দুঃসহ স্মৃতি রোহিঙ্গাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। উখিয়া ও টেকনাফের ৩২টি রোহিঙ্গা শিবিরে এক হাজার ৬শ টি মসজিদ ও ৬৪২টি নুরানী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নিবন্ধিত পুরনো রোহিঙ্গা ক্যা¤েপ ১৮ টি, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যা¤েপ ৩৮২টি ও ৩৮টি নুরানী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ছাড়াও অনেক রোহিঙ্গা খোলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেছে।অন্যদিকে কোরবানি ঈদে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি হোস্ট কমিউনিটি বা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় লোকজনের মাঝে নাম মাত্র গবাদি পশু বিতরণ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উখিয়ায় ৯ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার অবস্থানের পাশাপাশি প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার অধিবাসী রয়েছে। সে অনুপাতে উখিয়ায় অনেক গবাদি পশু পাওয়ার কথা। কিন্তু জেলার অন্য উপজেলাগুলো রোহিঙ্গা কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও উখিয়ার জন্য বরাদ্দকৃত পশু ঠিকই গেছে এসব উপজেলায়।উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী এনজিওদের প্রদত্ত কোরবানি গরু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন কোরবানের পূর্বে বলা হয়েছিল রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ ভাগ লোককে কোরবানির মাংস দেয়া হবে। কিন্তু আমার ইউনিয়নে ৮৪০০ পরিবারের ৫০ হাজার মানুষের জন্য মাত্র ৬ টি গরু বাছুর দেয়া হয়েছে।এসব বাছুর জবাই করার উপযোগী নয়। এগুলো নিয়ে কি করব তার সিদ্ধান্ত জানতে উখিয়া ইউএনও এর নিকট চিঠি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট