চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পর্যটকের ঢল কক্সবাজারে

ঈদ আনন্দের ঢেউ সৈকতে

আরফাতুল মজিদ , কক্সবাজার

১৫ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

কোরবানির ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়েছে পর্যটকদের উচ্ছ্বাস। বেশিরভাগ পর্যটক সমুদ্র গোসলে ব্যস্ত। অনেকেই বালুচরে সময় কাটাচ্ছেন। সাগরতীরের পাশে ঝাউবাগানে গিয়ে আপনজনদের সঙ্গে আড্ডা-গল্পগুজবে ঈদের আন্দনের ভাগ নিচ্ছেন। ইচ্ছেমতো ছবিও তুলছেন। পাশাপাশি ছুটছেন মেরিন ড্রাইভ সৈকত দিয়ে দরিয়ানগর, পাহাড়ি ঝরনার হিমছড়ি, পাথুরে সৈকত ইনানী, টেকনাফ সৈকত, মাথিন কূপ ও নাফ নদীর জালিয়ারদিয়া। বাড়তি উপভোগ করতে রামুর বৌদ্ধপল্লী ও চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও ভিড় করছেন। পর্যটক সেবাই নিয়জিত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বিচকর্মী ইনচার্জ খোরশেদ জানান, কোরবানি ঈদের আগের দিন থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটে কক্সবাজার শহরে। ঈদের দিনও কয়েক হাজার পর্যটক আসে। অথচ কোরবানি ঈদের রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজারে। বৃষ্টিতেও থেমে নেই পর্যটক আসা। গত মঙ্গলবার ও বুধবার পর্যটকে ঠাসা রয়েছে সমুদ্রসৈকত। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বেশ উত্তাল বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকত। কিন্তু তাতেও বসে নেই ভ্রমণে আসা লাখো পর্যটক। বেশির ভাগ পর্যটক সমুদ্র

¯œান নিয়ে ব্যস্ত। যাতে কেউ সাগরে পানির স্রােতে ভেসে গিয়ে প্রাণহানি না ঘটে- এ বিষয়ে বেশ সতর্ক রয়েছে বির্চকর্মীসহ লাইফ গার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমদ নোবেল বলেন, কোরবানি ঈদের পর হল পর্যটন মৌসুম। বছরের এ সময় পর্যটকরা বেশি আসে কক্সবাজারে। এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কোরবানের আগের দিন থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। পর্যটকদের সেবা দিতে হোটেল কটেজ ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত রয়েছে। নিয়মিত পর্যটকদের চাহিদা মতো সেবাও দিয়ে যাচ্ছে। প্রায় কটেজ বুকিং রয়েছে। পর্যটকদের চাহিদা মতো সেবা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, উত্তাল সমুদ্রে না নামতে পর্যটকদের সতর্ক করে সৈকতের বিভিন্ন স্থানে লাল নিশানা (পতাকা) উড়ানো হচ্ছে। কিন্তু পর্যটকের সেদিকে নজর নেই। তাঁরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে ঝাঁপ দিচ্ছেন। লাখো পর্যটককে সামাল দিতে ১০২ জন ট্যুরিস্ট পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, এবার কোরবানির ঈদে টানা সাত দিনের ছুটি কাটাতে অন্তত পাঁচ লাখ পর্যটকের কক্সবাজার ভ্রমণে আসার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে শহরের চার শতাধিক হোটেল-মোটেলের ৭২ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং করা আছে। ঈদের তৃতীয় দিন কক্সবাজারে এসেছেন দুই লাখের বেশি পর্যটক। ঈদের দ্বিতীয় দিনও লাখের কাছাকাছি পর্যটক এসেছে। আসা-যাওয়াতে রয়েছে পর্যটকরা। আগামী ১০ দিনের বেশি সময় থাকবে পর্যটকদের এই পদচারণা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পর্যটকদের গাড়ি জন্য পুরো বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী এলাকা যানজট তৈরি হয়েছে। কলাতলী মোড়, সুগন্ধা মোড় ও লাবণী পয়েন্টেও তৈরি হয়েছে যানজট। যার প্রভাব পড়েছে শহরের প্রধান সড়ক হলিডে মোড় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট