চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পহেলা বৈশাখের অর্থনৈতিক-সংস্কৃতির বলয়

ড. মোহীত উল আলম

৩ মে, ২০১৯ | ৪:৫০ অপরাহ্ণ

পহেলা বৈশাখ ১৪২৬। রবীন্দ্রনাথ আহ্বান জানিয়েছিলেন, “এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো।” আমরাও সেরকম আহ্বান জানাতে চাই। কিন্তু আমরা রবীন্দ্রনাথের মতো ডাকতে পারব না, কারণ আমাদের সে মনের জোর নেই। তিনি পরাধীন ভারতবর্ষের নাগরিক হয়েও প্রকৃতির শক্তির কাছে যে আরাধনা করতে পেরেছিলেন, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও বৈশাখের শক্তি উপলব্ধি করতে পারি না। কারণ বৈশাখ হচ্ছে পরিবর্তনের প্রতীক, পুরোনো, জরা, জীর্ণ এবং তামাদি জিনিষকে ঝেঁটিয়ে বিদায় দিয়ে নতুনের জয়গান গাওয়া হচ্ছে বৈশাখের ধর্ম। আর আমরা পুরোনোকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই। পুরোনো মূল্যবোধ, পুরোনো দৃষ্টিভঙ্গী, পুরোনো চালচলন, পুরোনো ব্যবহার এবং পুরোনো অভ্যাসের পাগল আমরা। এখানে রবীন্দ্রনাথ থেকে আমরা আলাদা হয়ে পড়েছি।

কয়েকদিন আগে একটি সাহিত্য আলোচনায় উপস্থিত ছিলাম। বিষয় ছিল, “বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাহিত্য।” যিনি মূল রচনাটা পড়লেন তাঁর রচনায় কিছু ছিল না, যাঁরা আলোচনা করলেন তাঁদের আলোচনায়ও কিছু ছিল না। বুঝতে দেরি হল না যে এটি আসলে রচনাকারের কর্তৃপক্ষকে খুশি করার একটি প্রচেষ্টা, যারা সাহিত্যের ‘সা’ও জানেন না, কিন্তু যাঁরা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় একটি সাহিত্যালোচনা হয়েছে দেখে হয়ত রচনাকার সহ আয়োজকদের ওপর খুশি হবেন। এ যে একটা ফাঁকিবাজির ব্যাপার হয়ে গেল, এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৈশাখী শক্তিকে যে কয়টি জিনিষ উচ্ছেদ করতে বলেছিলেন তার মধ্যে একটি।

আমি জানি না, এ কথাটা বললে আমি ঠিক বলব কীনা, কারণ আমার কাছে কোন তথ্য নেই, কিন্তু ধারণা থেকে বলছি এ দেশের সকল ক্ষেত্রে—মেধার জগতে, জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে, সংস্কৃতির জগতে, ব্যবসা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, রাজনৈতিক চর্চায়, দাপ্তরিক কাজে, সেবামূলক কাজে এবং ক্রীড়ার জগতে একটি বিরাট ফাঁকিবাজি চলছে। এ ফাঁকিবাজিতে আমরা ধাতস্থ হয়ে গেছি বলে ফাঁকিবাজিকে নিয়ম হিসেবে মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বিভিন্ন সমাজের বিভিন্ন ইতিহাস পড়ে আমার বোধোদয় হয়েছে যে ঠিক এমনটি ফাঁকিবাজি সচরাচর অন্যান্য দেশের ইতিহাসে দেখা যায় না। আমরা কেমন যেন শট সার্কিট হয়ে বসে আছি।

মানবেতিহাস পড়লে একটি জিনিষ বোঝা যায় যে মানুষের সমাজ আসলে নৈতিকতা, ধর্ম এগুলি দিয়ে চলে না, চলে অর্থনৈতিক কর্মপ্রবাহ দিয়ে। মানুষের সকল কর্মাভিযানের উৎস হচ্ছে ক্ষুধা। নিরেট পেটের ক্ষুধা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ও সমাজ বদলানোর মতো ক্ষুধা। এ প্রক্রিয়াটা হয় অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিন্যাসের মধ্য দিয়ে। অর্থনীতির এ কর্মশীল প্রক্রিয়ার জটিলতা আমরা নানা নীতিকথা দিয়ে ঢেকে রাখতে চাই।

একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে আমি ওপরে কী বলছি তা খোলসা হবে। বিশ-পঁচিশ বছর আগের ঘটনা। একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিদারুণ ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী একটা ভবন তৈরি করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হল। আমার এক পরিচিত প্রথম সারির নির্মান প্রতিষ্ঠান আবেদনপত্র জমা দিলেন। আমার পরিচিত ব্যক্তিটি ঘড়েল লোক। কাজটি পাবার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতাদের একটি বৈঠকে আহ্বান জানালেন। পারিতোষিকের ব্যবস্থা রাখলেন। দেখা গেল সন্ধ্যার পর তাঁর বৈঠকে যুদ্ধ্যমান প্রতিপক্ষ ডান-বাম-মধ্যপন্থী-মৌলবাদী সকল ছাত্র সংগঠনগুলোর সব স্থানীয় শীর্ষ নেতারা হাজির।

তবে বাংলাদেশ এই ৪৮ বছরে বহুদূর এগিয়েছে, বিশেষ করে কৃষির ক্ষেত্রে। এ প্রসঙ্গে বলি, এই উপমহাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও বিচক্ষণ নৃপতি সম্রাট আকবর প্রকৃত অর্থে অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৫৫৬ সালে, তাঁর সিংহাসন আরোহনের দিনে, পহেলা বৈশাখকে বাংলার নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে চালু করেন, যদিও এই ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন আরো বছরখানিক আগে, ১০ মার্চ ১৫৮৫ সালে। সে থেকে বাঙালির জাতীয় জীবনে পহেলা বৈশাখ সর্বোচ্চ অসাম্প্রদায়িক এবং সর্বোচ্চ সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

সম্রাট আকবরের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তি ছিল অর্থনীতি, আর সে অর্থনীতির ভিত্তি ছিল কৃষি। কৃষক জমিতে ধান ফলালে ফসল পাবে, এই প্রক্রিয়াটি অর্থনৈতিক, এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িক চেতনার কোন সম্পর্ক নেই। তিনি লক্ষ করেছিলেন যে চৈত্র মাসের গরমের দিনে কৃষক জমিতে ফসল ফলায় না, বরঞ্চ শীতের মৌসুমের শুরুর দিকে যে আমন ধান কাটা হয়, তারই উদ্বৃত্ত নিয়ে কৃষক দিন কাটায়। আর তখন সময় আসে কৃষকের নিকট থেকে কর গ্রহণ করার।উপরের এই ঐতিহাসিক তথ্য একটি কালনির্ভর তথ্য।

এখন দেখা যায় চৈত্র মাসেও একরের পর একর ধানী জমিতে বোরো ধানের বিশাল ফলন চলছে। চৈত্র-বৈশাখ মাসে দেখা যায় ধান কেবল পাকতে শুরু করেছে, সবুজ গাত্রবর্ণ থেকে ধানের গোছায় কেবল সোনালি রং আভাস দিতে শুরু করেছে, আবার কিছু কিছু জমিতে কৃষকের ভাড়া করা কামলারা উবু হয়ে ধান কাটতে শুরু করেছে মাত্র—তা হলে ধানের জমি যে দু’ফসলা থেকে তিন ফসলায় পরিণত হয়েছে, এবং আমন ধান চাষের পর যে বোরো নামক নতুন ধানের চাষ শুরু হয়েছে, এই উর্বরতার পর্ব সম্রাট আকবরের সময় ছিল না, তাই তিনি চৈত্রের দাবদাহের পর কালবৈশাখীর ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির ফোঁটার আগমন লক্ষ করে পহেলা বৈশাখকে নতুন বছর হিসেবে ঘোষণা দিয়ে একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে ধানের জমিরও চরিত্র বদলেছে, তাই ধানী গ্রামে, চৈত্রের এই শেষবেলাকার সময়ে কোন জমিই খালি নেই, কোন জমিতেই ফসলহীনতা নেই, নেই কাঠফাটা রোদ্দুর মুখরিত মাঠের মানচিত্র।

বাংলাদেশের কৃষি-জগত সম্রাট আকবরের দিন থেকে বর্তমানে বহুলাংশে ঋদ্ধ ও বৈজ্ঞানিক হয়েছে। আগে পাঠ্যবইয়ে যে একটি গড়পরতা কথা ছিল ‘বাংলাদেশের কৃষক প্রকৃতির করুণার উপর নির্ভরশীল’, সেটি এখন নিশ্চয় বদলে গেছে, এবং অর্থনৈতিক এই সমৃদ্ধির ফলে যে অর্থে সম্রাট আকবর চৈত্রের ‘দারুণ অগ্নিবাণের’ বিপরীতে সজল বৈশাখের আগমনকে ঋতু বৈপরীত্য হিসেবে মেনে নিয়ে বৈশাখকে আহ্বান জানিয়েছিলেন, কবিগুরুর ভাষায়, ‘এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো’ বলে, প্রকৃতিতে সে পরিস্থিতি এখন নেই, এখন আর চৈত্রের ‘ঘাম ঝরে দরদর গ্রীস্মের দুপুরে’ বলে কৃষক কাতরাচ্ছে না, বরঞ্চ শ্যালো আর ডিপ টিউবওয়েলের সাহায্যে মাটির গর্ভ থেকে জল উত্তোলন করার পর সে জল সিঞ্চিত হচ্ছে ক্ষেতের পর ক্ষেতে। এই আধুনিক সেচ কার্য বাংলাদেশের কৃষিজগতে বিপ্লব সাধন করছে। একজন ধনী কৃষক হয়ত নিজের পয়সায় একটি ডিপ বা শ্যালো টিউবওয়েল গাঁড়লেন, বাকিরা সমবায় পদ্ধতিতে তাঁকে ভাড়া দিয়ে নিজেদের জমিতে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করছেন। জলের আধার থেকে অনেক দূরের প্রান্তবর্তী জমিগুলোতেও জলের খেলা দেখতে পাওয়া যায়।

অর্থনীতির সঙ্গে সংস্কৃতির সম্পর্কটা হচ্ছে নীচের তলার আর উপরের তলার। নীচের তলা ঠিক থাকলে যেমন উপরের তলা ঠিক থাকে, তেমনি অর্থনীতি ঠিক থাকলে সংস্কৃতিও বলবান হয়। কৃষি-অর্থনীতি নানা দিক থেকে—যেমন ধানী জমির কথাতো বলা হলো, তারপর পশু-মুরগির খামার, মৎস্য খামার, ফলের খামার, বনজ সম্পদ আহরণের ব্যবসা—ইত্যাদি স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার সাথে সাথে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আগ্রাসী অর্থনৈতিক সংস্কৃতি। তার ফলে হয়েছে কি, পহেলা বৈশাখের নববর্ষ উৎসবটিকে ঘিরে বাঙালির সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক পর্বটি পালিত হলেও, এটির অবশ্যাম্ভাবী পরিণতি হচ্ছে, অর্থনীতির ভাষায় যাকে বলে ‘কাস্টমাইজড’ হয়ে যাওয়া, অর্থাৎ অর্থনৈতিক সংস্কৃতির পণ্যে পরিণত হওয়া।

কিন্তু মানবসমাজে সব উৎসবেরই একটি বিনিময় মূল্য থাকে। সে হিসেবে কৃষি-জগত সমৃদ্ধ হওয়াতে, কৃষি অর্থনীতিও জোরদার হয়েছে, এবং তার অভিঘাত পড়েছে পহেলা বৈশাখ উদযাপনরীতিতেও। এর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গ্রামীণ সংস্কৃতিকে নগরায়ণের রূপ দেওয়া। নগর অর্থনীতির ছোঁয়া যখন পড়েছে পহেলা বৈশাখের উৎসবে, তখন এর বিনিময় মূল্য জাতীয় বাজারে এবং আর্ন্তজাতিক বাজারে প্রতিষ্ঠিত হলো। এর ফলে একটি শংকা যেমন তৈরি হলো যে বাঙালির প্রাণপ্রিয় উৎসবটি কোন চূড়ান্তভাবে বেনিয়াদের কবলে চলে যাচ্ছে কীনা, সে সাথে এই সম্ভাবনাটিও উজ্জ্বল হয়ে উঠল যে পহেলা বৈশাখের সঙ্গে যে চাকচিক্য যোগ হলো,তা শক্তিশালী তড়িৎ ও মুদ্রণ সম্প্রচারের কল্যাণে বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে বাংলাভাষাভাষী জনগোষ্ঠী পৃথিবীর যেসব দেশে বাস করছে, সেখানে ছড়িয়ে যাবে ও যাচ্ছে। পাল্টাপাল্টি এ প্রবাসীরাও যে সব জায়গায় পহেলা বৈশাখ পালন করছেন, সেসব খবরও আমরা পাচ্ছি। যদি অমর একুশের শহীদ দিবস আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়, তা হলে পহেলা বৈশাখের উৎসবেরও আর্ন্তজাতিকীকরণ হতে পারে।

দ্বিতীয়ত গ্রামীণ সংস্কৃতি যখন নগরায়িত হতে থাকে, তখন এর দৃশ্যমানতা বাড়ে, বাড়ে সৌন্দর্যবর্ধনমূল্য। তাজমহল দেখতে যেয়ে দর্শনার্থী মাত্রই যেমন তাজমহলের একটি রেপ্লিকা বা নকল নিয়ে ঘরে ফেরেন, তেমনি পহেলা বৈশাখের মেলা থেকে সংগৃহীত গ্রামের পশুপাখির মূর্তি, তৈজসপত্র, টমটম গাড়ি, বাতাসা, মিঠাই অবশ্যই নগর এবং গ্রামের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি দৃঢ়তর করে।

তবে এই বিনিময়করণ প্রক্রিয়ার মধ্যে বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশ মাছ আর পান্তা ভাত দিয়ে পহেলা বৈশাখকে বরণ করার সংস্কৃতি নাকি আগে ছিল না। এটি গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশের নগরবাসীরা, বিশেষ করে সচ্ছ্বল নগরবাসীরা, মহোৎসাহে পালন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে দেখি পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল টাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াগোষ্ঠী লোকজনকে আপ্যায়ন করছেন, এবং আপ্যায়িত হচ্ছেন। ইলিশ মাছের দাম যেমন আকাশচুম্বী হয়, তেমনি জাটকা ইলিশও ধরা হয় প্রচুর, যা প্রকারান্তরে ইলিশ-সম্পদের জন্য ক্ষতিকারক। আবার আইনত এই সময়ে ইলিশ ধরাও নিষিদ্ধ।

কিন্তু—একটা বিরাট কিন্তু আছে। আমার ধারণায় চাহিদার হ্রাসবৃদ্ধির সঙ্গে সরবরাহের যে অর্থনৈতিক চেহারা আছে তার সঙ্গে বাজার পরিস্থিতির সম্পর্ক আছে। যেমন মুসলমানদের পবিত্র কুরবানি পালন উপলক্ষ্যে পশুবধের মাধ্যমে যে ত্যাগের ধর্ম প্রকাশ পায়,তা নিয়ে পশুসম্পদসংরক্ষণবাদীরা সহ অর্থনীতিবিদেরা বহু সমালোচনা করেন, কিন্তু লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো ঐ একটি পরবকে উপলক্ষ্য করে গবাদিপশুর পালন, চর্যা, বৃদ্ধি এবং মাংস-খাদ্যসংস্থান এবং চর্মশিল্পের ব্যাপক উদ্বোধন হয়, ফলে দেশ সম্ভবত অর্থনৈতিকভাবে বেশিমাত্রায় প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। ঠিক সে অর্থে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ ধরা ও নিধনের চর্চা বেড়ে গেলে, এর সরবরাহও বেড়ে যাবে। অর্থাৎ, পহেলা বৈশাখকে ইলিশের দিক থেকে লাভজনক উৎস মনে করলে, ইলিশের প্রজননও বেড়ে যাবে।

তবে এ কথাটাও ঠিক যে ইলিশের দামের ক্ষেত্রে শ্রেণিবিভাজনটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে বাংলাদেশে একটি ধনিক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে যারা ইলিশের কেজি তিন/চার হাজার টাকা হলেও কিনতে দ্বিধা করবে না। অন্যদিকে সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত লোকেরা ইলিশ মাছ পাতে নয়, স্বপ্নে দেখতে শুরু করেছে। এই ট্র্যাজেডিকে মেনে না নিয়ে একটা রাস্তা বের করতে পারাটাই হচ্ছে পহেলা বৈশাখকে সার্বিক ও সর্বজনীন উৎসবে পরিণত করার অঙ্গীকার।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট