চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দূষণের দায়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০ লাখ জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জুলাই, ২০১৯ | ৫:৪২ অপরাহ্ণ

হাটহাজারীতে ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টকে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে তেল নিঃসরণের মাধ্যমে দূষণের অভিযোগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে অর্থদণ্ডের পাশাপাশি ইটিপি নির্মাণ ও অয়েল সেপারেটর কার্যকর না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন নদী দূষণের বিষয়ে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন।
শুনানিতে হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক শফিউদ্দিন আহমদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মো. এরফানুল কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন। তবে শুনানির পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তারা।
গত ৯ জুলাই হাটহাজারীর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বর্জ্য তেলে হালদা দূষণের প্রমাণ পাওয়ার পর ওইদিনই অধিপ্তরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষকে ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে শুনানিতে হাজির হতে নোটিশ দেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে হালদা নদী সংলগ্ন মরা ছড়া খালে বর্জ্য তেল ফেলার অভিযোগ পেয়ে ওইদিন সকালে ঘটনাস্থল হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় মরা ছড়া খাল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে তেল ছাড়া হয়নি’ বলে সে সময় দাবি করেন হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফি উদ্দিন আহমদ। তার ভাষ্য ছিল, বেশি বৃষ্টি হওয়ায় কেন্দ্রের ভেতরের নালাগুলো ও রাস্তা পানিতে ভেসে যাওয়ায় তেল বাইরে চলে গেছে।
২০১২ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর ওই বছরই দুই দফা কেন্দ্রটিকে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে নোটিশ দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
জানা গেছে, দূষণের অভিযোগে প্ল্যান্টটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইটিপি নির্মাণের শর্তে জরিমানা মওকুফ করা হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইটিপির নকশার অনুমোদন নেয়া হলেও তা এখনও নির্মাণ করা হয়নি।

 

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট