চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় মতবিনিময় সভায় জাফর আলম

পানি কমলে ভেসে উঠা ক্ষত মেরামত হবে আগে

নিজস্ব সংবাদদাতা, চকরিয়া-পেকুয়া

১৭ জুলাই, ২০১৯ | ১:০৮ পূর্বাহ্ণ

বৃষ্টিপাত থামার সাথে সাথে চকরিয়ার পাহাড় ঘেষা ইউনিয়নগুলো বেশিরভাগ গ্রাম থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। যেখানেই পানি কমছে সেখানেই সড়ক-বাঁধের ক্ষতচিহ্ন দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে মাতামুহুরী নদীতে।
অন্যদিকে, উপকুলীয় সাত ইউনিয়নে গ্রামগুলো গত সোমবার সকাল থেকে নতুনভাবে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত ও ঢলের তোড়ে অত্যাধিক সড়ক, বাঁধ ভেঙে যাওয়া কাকারা ইউনিয়নে সরজমিন পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ জাফর আলম ও জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আফসারসহ জেলা-উপজেলাসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। গত সোমবার সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আফসারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের এমপি আলহাজ জাফর আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলী, পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা, এলজিইডি’র জেলার নির্বাহী মাকসুদুল আলম, জনস্বাস্থ্য কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী ঋত্বিক চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম আর মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মকছুদুল হক চুট্টু, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারী কর্মকর্তারা।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আফসার বলেন, বন্যায় দুর্গত চকরিয়ায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। তাদের জন্য ২শ’ মেট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং পেকুয়ায় পানিবন্দী ২০ হাজার পরিবারের জন্য ১শ’ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ হয়েছে। বন্যা কবলিত কেউ যাতে না খেয়ে না থাকে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় তিনি বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। সভায় জাফর আলম এমপি বলেন, চকরিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মাতামুহুরী ও শাখাখাল খনন। এই দাবি বাস্তবায়ন করতে ইতিমধ্যেই ৪’শতাধিক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আরো বরাদ্দ হবে। এই উপজেলার বানবাসী মানুষ অভাবী নয়। তারা ত্রাণ চাই না, তাদের দাবি ঢলে ভাঙা রাস্তা-ঘাট ও বাঁধ নির্মাণ করা। সেই দাবিপূরণ করতে বরাদ্দ করা ত্রাণের চাল বিতরণ না করে রাস্তা ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ মেরামতে ব্যয় করা হবে। এই বরাদ্দ ছাড়াও যেখানে যা প্রয়োজন ততটুকু বরাদ্দ আনা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট