চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

রোদের হাসিতে হেসেছে চট্টগ্রাম

আবহাওয়া ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৯ | ১:৫৭ অপরাহ্ণ

টানা ১০ দিন ভেজা ও প্লাবিত দিনযাপনের পর আজ মেঘের ফাঁক গলে ধরা দিয়েছে সোনালী রোদ। আর তাতেই হেসেছে আকাশ, ছুটি নিয়েছে মনের ক্লেদ ও অবসাদ।
গেলো ১০ দিন চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় ছিল টানা বৃষ্টি। ভারী বর্ষণে বারবার ডুবেছে বন্দরনগরী, যা ছিল গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
টানা বর্ষণে এখনো ডুবে আছে নগরের নিম্নাঞ্চল, জেলার রাউজান-পটিয়া-চন্দনাইশসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা। হালদা, ইছামতি, ডাবুয়া, সর্তা, ও শঙ্খ নদীতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপরে। তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও নিম্নাঞ্চল। নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর।



এতকিছুর পরেও সোমবার (১৫ জুলাই) সকালের এক মুঠো সোনা রোদে সব দুঃখ-ক্লেদ ভুলে আবারো শুরুর প্রত্যয়ে ছুটছেন চট্টগ্রামবাসী। মেঘের কোলে হেসে উঠা রোদ প্রেরণা হয়ে সঙ্গী হচ্ছে তাদের।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ জানান, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় মৌসুমি বায়ুর চাপের আধিক্য থাকায় টানা ১০ দিন বৃষ্টি ছিল। মৌসুমি বায়ুর সে প্রভাব কেটে গিয়ে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আগামী দিনগুলোতে দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ৩ দশমিক ২৫ মিলিমিটার থেকে ৪ দশমিক ২৫ মিলিমিটার এবং গড় উজ্জ্বল সূর্যকিরণ দেবে ৫ দশমিক ৫ ঘণ্টা থেকে ৬ দশমিক ৫ ঘণ্টা। এখন থেকে দেশব্যাপী স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। আগস্টে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ সোমবার (১৫ জুলাই) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে এখনো চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
আজ এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলবায়ুর আর্দ্রতা ৭২ শতাংশ।
চট্টগ্রামে আজ সূর্যাস্তের সময় ৬টা বেজে ৪০ মিনিট।

 

 

পূর্বকোণ/ময়মী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট