চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সেই ‘চারে’র আক্ষেপে পুড়ছেন উইলিয়ামসন

স্পোর্টস ডেস্ক

১৬ জুলাই, ২০১৯ | ১:২৮ পূর্বাহ্ণ

কপাল মন্দ হলে যা হয় আর কি! এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কেন এমন হবে? নিউজিল্যান্ডের ভাগ্য আসলেই সুপ্রসন্ন ছিল না। নিয়তিই ছিল টানা দ্বিতীয় ফাইনালে হারতে হবে। তবু আক্ষেপ তো হওয়ারই কথা, যেমনটা হচ্ছে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের। ২৪২ রান তাড়ায় শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান, হাতে মাত্র ২ উইকেট। সেট ব্যাটসম্যান বেন স্টোকসই ছিলেন ভরসা। একাই দলকে টেনে নিচ্ছিলেন এই অলরাউন্ডার। ৫০তম ওভারের চতুর্থ বলে স্ট্রাইকে ছিলেন স্টোকস। দৌড়ে দুই রান নিতে যান তিনি, তাকে আউট করতে থ্রো করেন কিউই ফিল্ডার মার্টিন গাপটিল। তবে বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। যে ওভারথ্রো থেকে চার আর দৌড়ে নেয়া ডাবলস মিলিয়ে মোট ৬ রান পায় ইংলিশরা। শেষ ওভারে ওই ঘটনাই ম্যাচটা ঘুরিয়ে দেয় ইংল্যান্ডের দিকে, না হয় ‘টাই’ হওয়াও কঠিন ছিল। শেষ পর্যন্ত তো টাইয়েও টাই হলো, বাউন্ডারির হিসেবে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড। এমন এক ম্যাচের পর ওই ‘চার’ নিয়ে কিউইদের আক্ষেপ হওয়াই স্বাভাবিক। যেখানে আসলে দোষ কারোরই ছিল না। গাপটিলও ভুল থ্রো করেননি, স্টোকসও ইচ্ছে করে ব্যাটে সেটা লাগাননি। কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন আসলে এটা নিয়ে কাকে দুষবেন, যেন বুঝে উঠতে পারছেন না। ম্যাচ শেষে আক্ষেপ করেই বললেন, ‘এটা আসলে হতাশ হওয়ার মতোই, তাই নয় কি? এমন মুহূর্তে এটা কেউই চাইবে না। আপনারা হয়তো একে বিশ্লেষণ করতে পারেন, তবে এখন আর তাতে আমাদের কোনো লাভ হবে না। আসলে এই ম্যাচটা বিশ্লেষণ করাই কঠিন, এত ছোট ছোট বিষয়গুলো পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। শুধু অতিরিক্ত রানই নয়। ছোট ছোট অনেক কিছু অন্যরকম হতে পারতো।’ তাই বলে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের অর্জনকে খাটো করে দেখছেন না উইলিয়ামসন। নিরেট ভদ্রলোক ভদ্র চেহারা নিয়েই বললেন, ‘দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন। এটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। যেমন ভেবেছিলাম, পিচ কিছুটা আলাদা ছিল। আমরা বলছিলাম ৩০০ প্লাস স্কোরের কথা। কিন্তু খুব বেশি ম্যাচে এমন দেখা যায়নি। পুরো টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড দল যেমন লড়াই করেছে, তার জন্য তাদের ধন্যবাদ।’ উইলিয়ামসনের মনে রয়ে গেছে বাড়তি ২০টি রানের আক্ষেপও। কিউই দলপতি বলেন, ‘পিচ কিছুটা শুষ্ক ছিল। এই পিচে যে এই রানই যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং, সেটা প্রমাণ হয়েছে। আরও ২০টা রান করতে পারলে ভালো হতো, তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে ২৪০-২৫০ও কম না। দুই দলই হৃদয় জিতেছে, লড়াই করেছে। বিশ্বকাপের ফাইনালে টাই। বোঝাই যায়, এই ম্যাচের অনেকগুলো অংশ ছিল।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট