চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চাকুরিজীবী নারীদের ফিট থাকার উপায়

শর্মী দাশ

১৭ জুলাই, ২০১৯ | ১:১৩ পূর্বাহ্ণ

বর্তমানে নারীদের কর্মক্ষেত্রের ব্যাপ্তি ঘটেছে। সব ক্ষেত্রে পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে তারা। বরং সারাদিনে নারীদের পুরুষদের চাইতেও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কারণ তাদের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে কাজ করে, ঘরে এসে আবার করতে হয় রান্নাবান্না, বাচ্চা সামলানোসহ সংসারের আরো নানান কাজ। তাই চাকুরিজীবী নারীদের ফিট থাকা খুব দরকার।
চাকরিজীবী নারীদের ফিট থাকতে করণীয় :
১. একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বানিয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। অফিস ও ঘরের কাজের মধ্যে সমন্বয় রেখে এই পরিকল্পনা তৈরি করুন।
২. প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। সময়টি এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে সংসারের যাবতীয় কাজ শেষ করে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় থাকে। এক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর সময়টিও নির্দিষ্ট রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনি পর্যাপ্ত ঘুমের সময়ও পাবেন।
৩. কাজের চাপে চাকুরিজীবী নারীরা অনেক সময় পানি পান করতে ভুলে যান। ফলে পানিশূন্যতা হতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই কর্মক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখা খুবই জরুরি। প্রয়োজনে পানির বোতল সঙ্গে রাখুন।
৪. প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। হালকা ব্যায়াম করুন। এতে সারাদিন আপনার শরীর ও মন সজীব ও চাঙা থাকবে। অফিস থেকে ফিরে আসার পরও নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন।
৫. বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত কমও খাওয়া যাবে না। কারণ এতে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। খাবারের মধ্যে বৈচিত্র্য নিয়ে আসুন। খেয়াল রাখবেন আপনার খাবার তালিকায় ফল ও সবজি যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। নিয়মিত সুষম খাদ্যাভ্যাস আপনাকে সুষ্ঠ ও সবল রাখবে।
৬. অফিসে একটানা বসে কাজ না করে কাজের ফাঁকে একটু হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস করুন। দাঁড়িয়ে কাজ করার অভ্যাসও করতে পারেন। এটি আপনার শরীরকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করবে।
৭. দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না। কারণ তা শরীরের অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। সবসময় নিজের সঙ্গে করে হালকা খাবার নিয়ে যাবেন। বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও বিস্কুট জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।
৮. ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে অনেক কর্মজীবী নারী ছোটখাটো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাকে অবহেলা করেন। এই ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যাই পরে বড় আকার নিতে পারে। তাই অবহেলা করবেন না। নিয়ম করে ডাক্তার দেখান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
৯. সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনটিতে পরিবার নিয়ে বিভিন্ন বিনোদনের আয়োজন করুন। নতুন কোন জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন, সিনেমা দেখতে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে পারেন, প্রিয় কারো সাথে দেখা করা ও আড্ডা মারার কাজও করতে পারেন। বড় ছুটি পেলে দূরে কোথাও ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়তে পারেন। এটি একঘেঁয়েমি দুর করে নতুন উদ্যমে কাজ করার শক্তি জোগাবে।
১০. কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচকতার চর্চা যেমন সহকর্মীদের সঙ্গে পরচর্চায়, পরনিন্দায়, হতাশার কথায় অংশ নেবেন না। সম্ভব হলে এগুলোকে নিরুৎসাহিত করবেন। নিজের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা একান্ত বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করুন অথবা কোন মনোবিদের সহায়তা নিন। সবসময় হাসিখুশি থাকুন ও নিজের কাজকে উপভোগ করুন।
ব্যস্ততার কারণে এসব ছোটখাট ব্যাপার আমরা অনেক সময়ই খেয়াল করি না। তবুও নিজের খেয়ালটা কিন্তু নিজেকেই রাখতে হবে।
এতে কর্মব্যস্ত জীবনটাও উপভোগ্য হয়ে উঠবে। তাই চাকুরিজীবী নারীদের ফিট থাকা নিশ্চিত করতে এসব টিপস মেনে চলাটা জরুরি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট