ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করতে চাওয়ায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে ১৬৪ ধারায় এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া মো. বাহার (৩৮)। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাশফিকুল হক তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আসামি বাহারকে গ্রেপ্তার এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেওয়ার বিষয়টি পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চরকাঁকড়া এলাকা থেকে স্কুলছাত্রী হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে বাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সকালে ঝড়ের মধ্যে বাড়ির পাশে বাগানে আম কুড়াতে গিয়েছিল হতভাগ্য স্কুলছাত্রী । সেখানে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বাহার । এরপর ধর্ষণের বিষয়টি বাড়িতে কাউকে বলতে স্কুলছাত্রীকে বারণ করেন বাহার। এ নিয়ে তর্কের একপর্যায়ে ছাত্রীকে খালে ফেলে মাথা পানিতে চুবিয়ে ধরে রাখেন বাহার । এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় সেই স্কুল ছাত্রী ।

জানা যায়, হত্যার ঘটনার আগেও বাহারকে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ধরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখেন। এ কারণে বাহারের প্রতি তাঁদের সন্দেহ হয় । ওই সন্দেহের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করলে ঘটনার আসল রহস্য বের হয়ে আসে।