চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফেসএপ হুজুগ, আছে ঝুঁকি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ জুলাই, ২০১৯ | ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

কেমব্রিজ এনালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছি মনে করলে একদম ভুল হবে। যদি শিক্ষা নিয়েই থাকতাম তাহলে আজকাল ফেসএপ ব্যবহার করতাম না আমরা। আপনার ফেসবুক ওয়ালেই চোখ মেলে তাকালে দেখবেন ফেসএপ ব্যবহার করেছেন আপনার কতজন বন্ধু। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভাইরাল হয়েছে ফেসএপটি। ভবিষ্যতে গ্রাহকের চেহারা কেমন হবে তার একটি সম্ভাব্য ধারণা দিয়ে থাকে এপটি।

নিছক মজার ছলে হলেও এপটি কিন্তু ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহক এপটিকে তার ছবি ও নামের একসেসও দিচ্ছেন। আর এ তথ্যগুলো যেকোনো উদ্দেশ্যে যতদিন ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবে ফেসএপ। আর এপটিকে এসব তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন গ্রাহক নিজেই।

এপ এনি’র দেয়া তথ্যমতে গুগল প্লে স্টোরে ফেসএপ ডাউনলোড হয়েছে ১০ কোটিরও বেশি। আর ১২১টি দেশে আইওএস এপ স্টোরে শীর্ষ এপ এটি। সব মিলিয়ে হুজুগে এ এপ ইতোমধ্যেই ১৫ কোটি ব্যক্তির তথ্য হাতিয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্বখ্যাত ফোর্বস সাময়িকী। এসব তথ্যের মধ্যে নাম-ঠিকানা আর তথ্য মালিকের ফেসবুকে রাখা ছবি রয়েছে।

ফেসঅ্যাপের শর্ত অনুযায়ী, গ্রাহক এপটিকে একটি রয়ালটিবিহীন লাইসেন্স দিচ্ছেন যার মেয়াদ কখনও শেষ হবে না ও এটি প্রত্যাখ্যানও করা যাবে না। আর এ লাইসেন্স দিয়ে তাদের ইচ্ছামতো যে কারও সামনে সবকিছু করতে পারবে তারা। বিষয়টি হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ কিছু নয় ও তথ্যগুলো হয়তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমাজন সার্ভারেই থাকবে।

ফোর্বসের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিষয়টি আপনার কাছে দুশ্চিন্তার কিনা তা একেবারেই সিদ্ধান্ত আপনার নিজের। কিন্তু এর আগে ফেসবুকের ভাইরাল এপগুলো নিয়ে আমরা যা জানা যায় তা হলো, এর মাধ্যমে যে উদ্দেশ্যে তথ্য নেয়া হয় তা শুধু সে উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হয় না। আর এ তথ্যগুলো সবসময় নিরাপদে ও গোপনে রাখা হয়, বিষয়টা এমনও নয়। তবে একবার ক্লাউডে কিছু আপলোড করা হলে এটির কোনো নিয়ন্ত্রণ আর গ্রাহকের কাছে থাকে না। এক্ষেত্রে গ্রাহক বৈধ লাইসেন্স দিয়েছেন কিনা সেটিও বিচার করা হয় না।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট