চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অভিবাসী ঠেকাতে নতুন কৌশল ট্রাম্প প্রশাসনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ জুলাই, ২০১৯ | ৪:১৪ অপরাহ্ণ

অভিবাসী ঢল ঠেকাতে নতুন কৌশল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এ অভিবাসী নীতির আওতায় সরাসরি আবেদন না করে প্রথমে অন্য একটি দেশে আশ্রয় খুঁজতে হবে। যেমন, যে দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা হচ্ছে, প্রথমে সেই দেশের শরণার্থী হতে হবে।

এরপরই কেবল তাদের যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী হওয়ার আবেদন বৈধ বলে বিবেচ্য হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করেই সীমান্ত পাড়ি দেয়া সব অভিবাসীদের প্রতিহত করতেই মূলত এ কৌশল নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, নয়া এ নীতিটি সোমবার ফেডারেল নিবন্ধিত হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) ও বিচার বিভাগ এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় খোঁজার পথে এটি হতে পারে নতুন প্রতিবন্ধকতা, যদি না তারা নির্যাতন বা নিপীড়ন থেকে সুরক্ষার জন্য তৃতীয় কোনো দেশে আবেদন না জানায়।’

যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী আইন ও জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আশ্রয় প্রার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের এ আইনটি আদালতের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

নতুন নীতি সরাসরি কয়েক লাখ পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলবে, যারা গুয়াতেমালা, এলসালভেদর ও হন্ডুরাসের মতো মধ্য আমেরিকার দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে মেক্সিকো থেকে যাওয়া অভিবাসীরা।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী দেশান্তরিত মানুষদের আশ্রয় দিতে নিরাপদ একটি তৃতীয় দেশ হিসেবে মেক্সিকো ও গুয়াতেমালার সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হ্রাসের এ চুক্তিতে রাজি হয়নি মেক্সিকো।

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেসও এ পরিকল্পনা বাতিল করেন। নতুন নিয়ম অনুসারে, মেক্সিকোয় ততদিন তারা অপেক্ষা করবে, যতদিনে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেবে অভিবাসন আদালত।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এ অভিবাসী নীতির উদ্দেশ্য হল, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে পাড়ি জমানো শরণার্থীর সংখ্যা কমানো।

হিউম্যান রাইটস ফার্স্টের পরিচালক ইলিয়েনর অ্যাসার বলেছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন আবারও কংগ্রেসে পাস হওয়া অভিবাসী সুরক্ষা আইনের সংস্কার বা লঙ্ঘন করতে চাচ্ছে।’

নতুন এই নীতিটিকে মারাত্মক, বিদ্বেষমূলক ও সুস্পষ্টভাবে অবৈধও বলেন তিনি।

 

পূর্বকোণ/ময়মী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট