চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কলমি শাক পুষ্টিগুণে ভরপুর ও বসন্ত রোগের প্রতিষেধক

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জুন, ২০১৯ | ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ

দামে খুব সস্তা অথচ পুষ্টিগুণে অনন্য কলমি শাক। কলমি শাক মূলত ভাজি করে ভাতের সাথে খাওয়া হয়। এছাড়া এই শাক দিয়ে পাকোড়া, বড়া ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। কলমি শাক আঁশ জাতীয় একটি খাবার। এতে খাদ্য উপাদান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের অনুপাত ঠিক রাখে। ভর্তা কিংবা ভাজি করে তরকারি হিসেবে খাওয়া হয় কলমি শাক। কলমি শাকে রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পুষ্টিমান : পানি ৮৯ গ্রাম, আমিষ ৩৯ গ্রাম, লৌহ ০৬ গ্রাম, শ্বেতসার ৪৪ গ্রাম, আঁশ ১৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০৯ মিলিগ্রাম, নায়াসিন ১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালরি ৩০ কিলো ক্যালরি। কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে বলে এ শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ালে তাদের আর বাজারের প্রচলিত চটকদার ফুড সাপ্লিমেন্টের দরকার হয় না। কলমি শাক চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। এ শাক দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। এটি এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে

কাজ করে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রোগীদেরকে দ্রুত সুস্থ হবার জন্য কলমি শাক খাওয়ানো হয়ে থাকে। কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে।
কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ থাকায় এই শাক রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। সারা দেহে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতেও এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কলমি শাক মহিলাদের বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় সমস্যায় দ্রুত কাজ করে ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট