চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

কিংবদন্তি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান

১৫ জুলাই, ২০১৯ | ১:১৭ পূর্বাহ্ণ

একজন ক্রিকেটার কতটা দায়িত্ব নিয়ে দেশের জন্য খেলতে পারে, সাকিব আল হাসান সবচেয়ে বড় প্রমাণ। তাকে ‘ব্যাটসম্যান কাম বোলার’ বলবো, নাকি ‘বোলার কাম ব্যাটসম্যান’ সেটা নিয়েও বিস্তর আলোচনা করা যেতে পারে। আর ফিল্ডিংয়ের কথা যদি বলি, সেখানেও সাকিব এক নম্বর। যে কারও থেকে অনেক এগিয়ে। কোনও ম্যাচে আমাদের কোনও খেলোয়াড় যদি ক্যাচ মিস করে, তাহলে অনেক দর্শককে বলতে শুনি সাকিব থাকলে এই ক্যাচ মিস হতো না। কারণ একটি খেলায় কেউ যদি সবদিক থেকে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে যায়, তাহলে সবাই তাকে সবখানেই চাইবে। সাকিবের ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে।
বাংলাদেশের খেলা থাকলে বন্ধুরা একসঙ্গে বসে খেলা দেখে থাকি। বাংলাদেশের রান রেট বেশি প্রয়োজন হয়, তবে সবাই সাকিব কখন মাঠে নামবে সেই প্রার্থনা করে। সাকিব আমাদের ক্রিকেটের জন্য প্রেরণা, নির্ভরতা এবং আস্থার নাম। একই সঙ্গে বিনোদনের নাম। কারণ ব্যাট হাতে থাকলে যেমন চার-ছক্কা দেখা যায় আবার বল হাতে উইকেট শিকার। সাকিব ছোট দেশে জন্ম নেওয়া বিশ্বমানের কিংবদন্তি খেলোয়াড়। যে একাই একটা দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
বিশ্বকাপে একবার মাত্র বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলেছে। সেমিফাইনাল,ফাইনাল ম্যাচও কখনও খেলেনি। বিশ্বকাপে অল্প ম্যাচ খেলার পরেও সাকিবের কীর্তি অনেক। বাংলাদেশ যদি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতো, তাহলে সাকিবের আরো বেশি রেকর্ড ঝুলিতে থাকতো। ক্যারিয়ারের দীর্ঘসময় ধরেই সাধারণত তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই এক নম্বর র‌্যাংকিঙে থাকছেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই মহাতারকা সাকিব আল হাসান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলার সংখ্যা কম। সাকিব আল হাসানের ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় ৬ আগস্ট ২০০৬। বিশ্বকাপ শুরু পর্যন্ত ২০২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। অন্যদিকে বিরাট কোহলির ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৮ আগস্ট ২০০৮। কোহলিও বিশ্বকাপ শুরু হওয়া পর্যন্ত ২২৭টি ওয়ানডে খেলেছেন। একই অবস্থা টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। সাকিব আল হাসানের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৮ মে ২০০৭। এ পর্যন্ত ৫৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। অন্যদিকে বিরাট কোহলির টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০ জুন ২০১১। তিনি এ পর্যন্ত ৭৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। সাকিব আমাদের এই ছোট দেশের কিংবদন্তি খেলোয়াড়। যাকে খেলোয়াড়ি জীবনের মধ্যেই এই ঘোষণা দেওয়া যায়। পরিসংখ্যান সেই কথাই বলে কিংবা বলবে। সাকিব আল হাসান দুটি দেশের মধ্যে পার্থক্য করে দেওয়া খেলোয়াড়, যিনি তিন ধরনের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে নাম্বার ওয়ান থেকেই ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছেন।

আহমেদ মনসুর
চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট