চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ ২০ লাখ টাকা জরিমানা

১৮ জুলাই, ২০১৯ | ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

বর্জ্য তেল নিঃসরণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী দূষণের অভিযোগে হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টকে ২০ লাখ টাকা অর্থদ- দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পাশাপাশি ইটিপি নির্মাণ এবং অয়েল সেপারেটর কার্যকর না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নদী দূষণের বিষয়ে বুধবার শুনানি শেষে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন এ নির্দেশ হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির

ব্যবস্থাপক শফিউদ্দিন আহমদ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মো. এরফানুল কিবরিয়া শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তবে শুনানির পর তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়েকদিন আগে সরেজমিন পরিদর্শনে পাওয়ার প্ল্যান্টের অপরিশোধিত বর্জ্যে নদী দূষণের প্রমাণ মিলেছে।
“নদী দূষণ ও ইটিপি কার্যকর না থাকায় হাটহাজারী পাওয়ার প্ল্যান্টকে শুনানি শেষে জরিমানা করা হয়।
“একই সঙ্গে ইটিপি নির্মাণ এবং অয়েল সেপারেটর কার্যকর না করা পর্যন্ত পাওয়ার প্ল্যান্টটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
গত ৯ জুলাই হাটহাজারীর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বর্জ্য তেলে হালদা দূষণের প্রমাণ পাওয়ার পর ওইদিনই অধিপ্তরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষকে ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে শুনানিতে হাজির হতে নোটিস দেন।-বিডিনিউজ
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে হালদা নদী সংলগ্ন মরা ছড়া খালে বর্জ্য তেল ফেলার অভিযোগ পেয়ে ওইদিন সকালে ঘটনাস্থল হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় মরা ছড়া খাল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়াও বলেছিলেন, বেশি বৃষ্টি হলেই তারা গোপনে বর্জ্য তেল ছেড়ে দেয়।
তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে তেল ছাড়া হয়নি’ বলে সে সময় দাবি করেন হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী শফি উদ্দিন আহমদ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট