চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাও শাকিলের জিপিএ-৫ ঠেকাতে পারেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জুলাই, ২০১৯ | ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

মো. শাকিল খান। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা সমাজবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আশার কথা শোনায়। স্বপ্ন দেখছে শিক্ষক হওয়ার। এর জন্য বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে বলে জানায় শাকিল খান। গতকাল বুধবার এইচএসসির ফল প্রকাশের পর মুরাদপুরের সরকারি দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে কথা হলে এসব কথা বলে সে। একে একে কথা হয় সব শিক্ষার্থীর সাথে সবাই তাদের স্বপ্ন ও আশার কথা শোনায়। চট্টগ্রাম সরকারি দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ জানান, এই প্রতিষ্ঠানে মোট ৮০ জনের মত শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ১০ জন অংশগ্রহণ করেছে। তাদের সবাই ভালো রেজাল্ট করেছে। এরমধ্যে দুইজন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। দীর্ঘবছর এ প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। সবাইকে খুব মিস করবো। চট্টগ্রাম সরকারি দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সরকারি দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে দুইজন জিপিএ-৫ সহ ৮ জন পাস করেছে। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। চট্টগ্রাম হাজেরা-তজু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ৫ জন অংশ গ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে। তারা হলো- আরফাতুল ইসলাম জিপিএ- ৩.৬৭, ইয়ামিন আক্তার জিপিএ- ২.৫৮, ফারজানা আক্তার জিপিএ- ৩.৭৫, হিমেল কান্তি ৪.০৮, মো.সুরাত আলম জিপিএ-৩.৮৩। এছাড়া, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে

সাকিল খান জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৩.৩৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তানবীর চৌধুরী। পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সাইফ উদ্দীন রাফি। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন অকৃতকার্য এবং অন্যজনের ফলাফল জানা যায়নি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট