চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সিটি মেয়রের হস্তক্ষেপে সমঝোতা

ইউএসটিসি কর্মচারীদের কর্মসূচি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত

১৭ জুলাই, ২০১৯ | ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনের হস্তক্ষেপে ইউএসটিসির কর্মচারীদের সার্ভিস রুল বাস্তবায়ন ও তাদের (কর্মচারীদের) বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার নিয়ে ইউএসটিসি’র কর্মচারী ইউনিয়নের চলমান কর্মসূচি ৩১ শে আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে সিটি মেয়রের কার্যালয়ে ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ এবং কর্মচারী ইউনিয়নের মধ্যকার এক সমঝোতা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইউএসটিসির বোর্ড ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আহমদ ইফতেখারুল ইসলাম, ডাক্তার শেখ মাসিত নুর ইসলাম (সাবা), বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শফর আলী, ইউএসটিসি চেয়ারম্যানের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার আশিক ইমরান, ইউএসটিসি কর্মচারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক মিয়া, মো. আরিফ আহমেদ চৌধুরী, সোলেমান, আবদুল আজিজুর রহমান, মো. সোহেল, হেমায়েত উদ্দিন, জমির আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ইউএসটিসি কর্মচারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ মানিক মিয়া বলেন, ইউএসটিসিতে কর্মরত কর্মচারীরা দীঘদিন যাবত শ্রমের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এই অধিকার আদায়ের জন্য বিশেষ করে সার্ভিস রুল পাওয়ার জন্য ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষের সাথে অনেকবার বৈঠক ও দেন-দরবার হয়। এই প্রেক্ষিতে চলতি বছর ৬ই জুন ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ একটি খসড়া সার্ভিস রুল প্রদান করে। যা বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুয়ায়ী নয়।
ফলে ইউএসটিসি কর্মচারী ইউনিয়ন গতকাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। ইউএসটিসির এ অচলাবস্থার সংবাদ পেয়ে তা নিরসনের উদ্যোগ নেন মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।
সিটি মেয়রের উপস্থিতিতে দীর্ঘ ১ঘণ্টার বেশি সময় উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়নের সকল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। বৈঠকে ৩১ আগস্টের মধ্যে চাকুরি বিধিমালা প্রকাশ ও কার্যকর করা হবে। এই বিধিমালা ইউএসটিসি ভিসির নেতৃত্বে প্রণীত হবে। এছাড়া ইউনিয়নের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।
বৈঠকে সিটি মেয়র বলেন, মালিক-কর্মচারী সম্পর্ক হতে হবে হৃদ্যতাপূর্ণ। একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করলে কেবল দেশ নয়, প্রতিষ্ঠানও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানকে টিকে রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ও কর্মচারীর। এতে শ্রমিক, কর্মচারীরা তাদের নায্য অধিকার পেতে পারে। তাই শ্রমিক, কর্মচারী ও মালিক পক্ষের সম্পর্ক হতে হবে বন্ধুত্ব সুলভ। একই সাথে মালিক পক্ষের উচিত শ্রমিক কর্মচারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিবেচ্য বিষয়গুলো খেয়াল রাখা।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট